ওই তরুনীর দাবি, তাঁদের পরিচয় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। গত বছর জুন মাসে ইনস্টাগ্রামে একটি বন্ধুত্বের অনুরোধ আসে । অভিযুক্তের আসল নাম তিনি জানতেন না। 'জিদ্দি লড়কা' নামে একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত। ওই তরুণী অনুরোধ গ্রহণ করার পরে তাঁদের নিয়মিত মেসেজে কথা শুরু হয়।
তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পর অভিযুক্ত তাঁকে ফাঁদে ফেলার জন্য বার বার হুমকি দিত, শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিত। চলতি বছর আগাস্ট মাসে অভিযুক্ত হাতে একাধিক বার কাটা দেখিয়ে তরুণীকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে। তরুণীর কথায়, ছেলেটি দেখা করার জন্য জোর করছিল। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতন হুমকি দেয় অভিযুক্ত। উপায় না পেয়ে তরুণী রাজি হয় অগত্যা। আহমেদাবাদে দেখা করতে আসতে বলেছিল তরুণীকে।
advertisement
তরুণীর অভিযোগ, আত্মহত্যার হুমকি শুনে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং দেখা করতে রাজি হন। আহমেদাবাদের খাদিয়ায় প্রথম বার তাঁরা দেখা করে। অভিযুক্ত তরুণীকে রায়পুরের হোটেলে নিয়ে যায়। পরের দু’দিন ধরে তরুনীর উপর লাগাতার ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। তবে অভিযুক্ত নাকি তরুণীকে বিয়ে করবে বলে আস্থা দিয়েছিল।
এই ঘটনার পরে আবারও এ বছর অক্টোবরে ওই তরুণী আবার অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে তরুণীর উপর আবার যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। তাঁরা এক মাস একসঙ্গেই ছিলেন ওই গেস্ট হাউসে। তরুণীকে বিয়ে করবার প্রতিজ্ঞা করে অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত পলাতক। দু’মাসের উপর তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না দেখে তরুণী পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। কিন্তু অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পুলিশ এখনও পায়নি।
