কিন্তু হঠাৎ কেন এই চাহিদা? অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার প্রকাশম, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস গাধার মাংস পিঠ এবং কোমরের ব্যাথা কমাতে অব্যর্থ। এই মাংস খেলে কমে শ্বাসকষ্টের মতো দীর্ঘদিন শরীরে বাসা বেঁধে থাকা রোগ। সর্বোপরি, গাধার মাংস কামোত্তেজনা বাড়ায় চড়চড় করে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, এ ভাবে গাধার মাংসের চাহিদা বাড়ার ফলে কমে যাচ্ছে গাধার সংখ্যা। পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যদিও ২০০১ সাল থেকে গাধা জবাই নিষিদ্ধ। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি অসাধু ব্যবসায়ীদের।
advertisement
অ্যানিম্যাল রাইট অ্যাক্টিভিস্টদের মতে, এ ভাবে গাধার মাংস বিক্রি করার একটি অসাধু চক্র রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। যারা কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র থেকে গাধা এনে সেগুলি জবাই করে মাংস স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিক্রি করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক কেজি গাধার মাংসের দাম ৬০০ টাকা। একটি সম্পরণ গাধা সেক্ষেত্রে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টকায়।
কিন্তু কীভাবে এই জনপ্রিয় হল গাধার মাংস? স্থানীয়দের বিশ্বাস গাধার মাংস শ্বাসকষ্ট-সহ শ্বাসযন্ত্রের একাধিক সমস্যা সারিয়ে ফেলতে পারে। পাশাপাশি জোন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন। অ্যানিম্যাল রাইট অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, প্রকাশম এলাকা থেকে গাধার মাংস খাওয়ার চল শুরু হয় প্রথম। প্রকাশমে মূলক অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের বাস। সেখানে একসময় প্রচলিত ছিল গাধার রক্ত খেলে 'ঝড়ের গতি'তে দৌড়নো সম্ভব। সেই থেকেই গাধা হত্যার চল শুরু। তারপর থেকে সেই হত্যালীলা বন্ধ হয়নি। এমনকি, সেখানকার মৎস্যজীবীদের বিশ্বাস, গাধার রক্ত সেবন যাত্রা শুভ করে। ফলে অনেকেই রক্ত পান করে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন।