সাহেব চৌধুরি নামে তার ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে।সেই প্রোফাইলে চলতো নিজেদের প্রমোটারি ব্যবসার বিজ্ঞাপন। ২০১৯ সাল থেকে ফেসবুকে রয়েছে সাহেব ওরফে অমৃতাভর।তার ডাকনাম সাহেব।বেঁচে থাকার তথ্য গোপন রাখতেই সেই নামে খোলা হয়েছিল ফেসবুক প্রোফাইল। এমনই অনুমান সিবিআইয়েই। জেরায় এই ফেসবুক পেজের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে।
জেরায় অমৃতাভ দুর্ঘটনার পর ছয় বছর তামিলনাড়ুতে থাকার কথা জানিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। কিন্তু সেখানে সে কি করত সে ব্যাপারে তার বক্তব্যে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এগারো বছর আগে ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনা।সেই ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর রেল কর্তৃপক্ষ অমৃতাভ চৌধুরি জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ও তার বোনকে চাকরি দেয়। কিন্তু অমৃতাভ আদতে মারা যাননি,তিনি এখনও বেঁচে রয়েছেন গোপন সূত্রে সেই তথ্য পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।রেল দপ্তর সে সব ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পর বিষয়টি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়। এরপর থেকেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দীর্ঘ সময় ধরে অমৃতাভ ও তার বাবাকে জেরা করছে সিবিআই। সেই জেরাতেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর নানান তথ্য।দেখা যাচ্ছে, রেলের কাছে তিনি মৃত হলেও বহাল তবিয়তে তিনি ডাকনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। ফেসবুক পেজে নিয়মিত নিজেদের ঠিকাদারি ব্যবসা খুঁটিনাটি শেয়ার করতেন তিনি। কোন ফ্ল্যাট কখন বিক্রি হবে তার দাম কত সেসব তথ্য ফোন নাম্বার দেওয়া থাকত তার ফেসবুক পোস্টে। নিজের বেঁচে থাকার তথ্য গোপন রাখতেই ডাক নামে ফেসবুক প্রোফাইল চালাচ্ছিলেন অমৃতাভ -এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
advertisement
Saradindu Ghosh