পুলিশের দাবি, ওই মহিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ মনস্তাত্ত্বিক। 'বাম্বল' নামের এক ডেটিং অ্যাপে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। ওই মহিলাকেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে পুলিশ। আফতাবকে শনিবার সন্ধেয় দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে আপাতত জেল হেফাজতে ১৩ দিনের জন্য পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত।
আরও পড়ুন: বেআইনি ফুটপাথ দখল রুখতে এবার আরও কড়া দাওয়াই, ছক কষছে পুলিশ-পুরসভা
advertisement
তিহার জেলের ৪ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে আফতাবকে। ২৪ ঘণ্টা তার ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, শ্রদ্ধার দাদা ও বাবার ডিএনএ পরীক্ষার ফল এখনও হাতে পায়নি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শরীরের টুকরোর সঙ্গে সেগুলি মিলিয়ে দেখা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকা শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করতে মোট ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল আফতাবের। এর মধ্যে মাঝে মাঝেই সে বিরতি নেয়, কখনও বিয়ার, কখনও সিগারেট খায়। এমনকী অনলাইনে খাবার অর্ডার করেও খায় সে।
আরও পড়ুন: রাত নামতেই ভোলবদল, কল সেন্টারে তখন শুরু অন্য খেলা! হাওড়ায় চাঞ্চল্য
২৬ বছরের শ্রদ্ধাকে খুন ও টুকরো করার পর নিজের অপরাধ লুকোতে ফোন ওএলএক্সে বিক্রিও করে আফতাব। কোনও ভাবেই যাতে তার নাগাল না পায় পরিবার বা পুলিশ তার পরিকল্পনা করেছিল সে। ভাসাইয়ের ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী বলেও পরিচয় দিয়েছিল আফতাব ও শ্রদ্ধা। পুলিশের দাবি, গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব, রাত ৮-১০টার মধ্যে। সারারাত সেই দেহ ঘরেই ছিল। পরদিন ফ্রিজ ও ছুরি কিনে এনে দেহ টুকরো করে আফতাব। শ্রদ্ধার বাবা আফতাবের ফাঁসির দাবি করেছেন।