পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল আদালতে পেশ করছিল অপরাধীদের। পুরো ঘটনাটি অপরাধীদের দুই গোষ্ঠীর পুরোনো বিবাদের জের। যারা গুলি চালিয়েছে, তারা আইনজীবীদের পোশাকে এসেছিল আদালতকক্ষে। এই গুলির লড়াইয়ে এক ইনটার্ন আইনজীবীর পায়ে গুলি লেগেছে। পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল আগেই দিল্লি পুলিশকে এই হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তারপরেও কেন এই হামলা এড়ানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আদালতের মধ্যে এভাবে প্রকাশ্য গুলির লড়াইয়ে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠী রয়েছে এই ঘটটনার পিছনে। জতিন্দর মান ওরফে গোগীর (Jatinder Maan alias Gogi) সঙ্গে বহু পুরনো শত্রুতা সুনীল তাজপুরিয়া ওরফে টিল্লুর (Sunil Tajpuriya alias Tillu)। গত মার্চেই কুলদীপ ফাজা নামে গোগীর সহচর দিল্লি পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। জানা যায়, কুলদীপ গোগীর ডান হাত ছিল। পরে রোহিণীর ফ্ল্যাটে পুলিশি অভিযানে কুলদীপের মৃত্যু হয়েছিল। সেখানেই পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তার। এদিন দিল্লির আদালতে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ টি বোরে ও ৩০ বোরে পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
কুখ্যাত দুষ্কৃতী গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। সে রকম এক মামলায় আদালতে আনা হয়েছিল গোগীকে। তখনই বিরোধী গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা আইনজীবীদের পোশাক পরেই আদালত চত্বরে ঢুকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের গুলি চালনার মধ্যেই পাল্টা গুলি চালিয়েছে পুলিশও। সেই গুলিতে দুষ্কৃতী দলের দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। ঘটনা নিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেছেন, 'রোহিণী আলাদতে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর উপর গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। পুলিশের পাল্টা গুলিতে দুই আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! দিল্লির আদালতের কোর্টরুমে এলোপাথাড়ি গুলি!