এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে সেই হোটেলেই অভিযান চালাল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল সাত জনকে। পুলিশের দাবি, হোটেল ম্যানেজারের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর মহিলার ছবি। ঘটনার তদন্ত চলছে। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মেরঠের টিপিনগর থানার অন্তর্গত বেদব্যাসপুরী এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যে হোটেল ‘ইউভি ইন’ খুলেছিলেন বাড়ির মালিক। চলতি সপ্তাহে সেই হোটেলেই পুলিশ হানা দেয়। ‘মিশন রেসকিউ’ নামে এক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গত তিন মাস ধরে হোটেলের উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সদস্য রাজেন্দ্র সিং-ই অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং টিমকে খবর দেন।
advertisement
আরও পড়ুন- আগামিকাল থেকে ‘লু’-এর সতর্কতা ! আগামী ৫ দিনে কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ? জেনে নিন
সেই মতো ব্রহ্মপুরীর সিও শুচিতা সিং-এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হোটেলে অভিযান চালায়। ওই হোটেলের দালাল, পরিচালক-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন মহিলা।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেদব্যাসপুরী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এধরনের হোটেল ব্যবসা গজিয়ে উঠেছে গত কয়েক বছরে। পরিস্থিতি এমন যে এলাকার মানুষের বসবাস করাই দায় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিন হোটেল ‘ইউভি ইন’-এ পুলিশি অভিযান চলার সময় আশপাশের হোটেলগুলিতেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযানের সময় ‘মিশন রেসকিউ’ সংগঠনের সভাপতি রাজেশ চতুর্বেদী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন মেরঠে এমন আরও অনেক মানবপাচার চক্রের হদিস পাওয়া যাচ্ছে। তাঁদের দল এধরনের উদ্ধার অভিযান চালাবে বলে দাবি করেন তিনি।
সিও-র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশকর্তাদের দাবি, হোটেল ম্যানেজারের মোবাইল থেকে অনেক তরুণী ও মহিলার ছবি পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই স্কুল বা কলেজের পড়ুয়া।
মনে করা হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে এদের দিয়ে বেআইনি কাজ করাত হোটেল। প্রয়োজন মতো এদের ডেকে নেওয়া হত হোটেলে। দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Reporter: Nikhil Agarwal