ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার সদর শহর লাগোয়া টাকাগাছ বাঁশেরপুল এলাকায়। জনৈক ওই বৃদ্ধা তাঁর দুই ছেলে ও এক নাতির সঙ্গে থাকতেন। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার জেরে গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এক অপরিচিত দাদার পকেট থেকে ফোন বের করে জানাল, ও মরে গেছে! তাহলে?’
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, “দীর্ঘ বহু সময় আগে থেকেই তাঁর দুই ছেলে ও এক নাতির সঙ্গে তিনি এই এক বাড়িতে থাকেন। তাঁর দুই ছেলের নাম রঞ্জিত স্বর্ণকার ও নিখিল স্বর্ণকার। তবে বেশ অনেকটা সময় ধরেই তিনি মাথা ব্যথার শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাই ক্রমশ তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এই অসুস্থতার কারণে। মনে করা হচ্ছে মূলত এই কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে।’ পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদ ও অন্যান্য ঘটনার সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না এই ঘটনায়। বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২৮ কিমি গতিবেগে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কিন্তু কেন? বিরাট রহস্য
পুলিশ সূত্রে জানতে খবর, ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ ভোর ৪টা নাগাদ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। বৃদ্ধার শোওয়ার ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বৃদ্ধার দেহ। তারপর খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকার অন্যান্য মানুষের মধ্যে। পরে পুলিশের কাছে খবর আসলে পুলিশ গিয়ে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
Sarthak Pandit