বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই জখম যুবক। তবে মদ্যপ যুবককের কাছে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র আসল এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদহের কালিয়াচক থানার শ্রীরামপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই স্থানীয় একটি মুদির দোকানে কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ সেই সময় শামিম বিশ্বাস নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় সেখানে আসে। তার পকেট থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বার করে। সকলের সামনে শূন্যে গুলি করার দাবি করে। বাধা দেন সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকেই। তবে শামিম বন্দুক ও গুলি বার করে বার বার গুলি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: রেললাইনের ধারে ওটা কী? সামনে যেতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য, সিঙ্গুরে চাঞ্চল্য
অবশেষে শূন্যে গুলি ছুঁড়ে দেয় সে। বাধা দিতে গেলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (৩৫) নামে ওই যুবকের হাঁটুতে গুলি লাগে। গুলির খোলটি তাঁর বুকে গিয়ে লাগে। ঘটনাস্থলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস গুরুতর জখম অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়দের তৎপরতায় তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে রাতেই মালদহের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রেফার করে। বর্তমানে মালদহের বেসরকারি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীয়ের ছবি হাতে খুঁজেই চলেছেন স্বামী, ঘরে কেঁদে অসুস্থ ২ দুধের শিশু!
পাশাপাশি এই ঘটনা বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত শামিমের বিরুদ্ধে। যদিও কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জখম জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, 'আমি বাবা বার বারণ করেছিলাম। তারপরেও বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ে। আমার হাঁটুতে গুলি ও বুকে গুলির খোল ছুটে এসে লাগে। কী ভাবে ওর কাছে বন্দুক আসল আমরা চিন্তিত। তবে মদ্যপ হলেও ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত সে।'
হরষিত সিংহ






