আসলে, মালতি সোরেন তাঁর মায়ের সঙ্গে ২৭ এপ্রিল ফোনে শেষ কথা বলেছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর মাকে বলেছিলেন যে, স্বামী তাঁকে মারধর করত। এই ঘটনার কয়েকদিন পরই জঙ্গল থেকে মালতির ছিন্ন মস্তক উদ্ধার হয়। পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে তালু কিস্কুকে আটক করে। অপরদিকে, পুলিশ তাকে দীর্ঘ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে ঘটনার পুরো ঘটনা খুলে বলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরে মৃতদেহের সারি, পড়ে ৪ লাশ! দুর্গাপুরে হাড়হিম কাণ্ড, আসল ঘটনা জানলে ভয়ে কাঁপবেন
জিজ্ঞাসাবাদে তল্লু কিস্কু পুলিশকে জানিয়েছে, স্নান করার অজুহাতে মালতিকে লেকে নিয়ে যায় সে। তার বন্ধুরা আগে থেকেই সেখানে ছিল। সেখানে স্ত্রীকে নির্মম ভাবে মারধর করে তল্লু। যেখানে ইতিমধ্যেই তিন সহকর্মী ছিলেন, তল্লুর হোপনা হাঁসদা, মান্ডওয়ার মণ্ডল মুর্মু এবং চাটকির নারায়ণ মুর্মু। তল্লু লেকের কাছে মালতিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পুলিশ তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এরপর হপনা হাঁসদা টোডি চিমনি দিয়ে গলা কেটে ফেলে মালতির। এরপর মন্ডল মুর্মু দেহ কেটে দুই ভাগ করেন। এতে সহযোগিতা করেন নারায়ণ মুর্মু। এরপর লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়। লাশের অবশিষ্ট টুকরো পশুরা খেয়ে ফেলে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্কুলে রিভলবার নিয়ে দাপাচ্ছে যুবক, সঙ্গে অ্যাসিডের বোতল! আমেরিকা নয়, মালদহের ঘটনা
স্টেশন ইনচার্জ জগন্নাথ পান জানান, টুকরো টুকরো লাশ উদ্ধারের পরের দিনই তল্লু কিস্কুকে আটক করা হয়। এরপর তার গোপন সূত্রে তার তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে হপনা হাঁসদা, মন্ডল মুর্মু এবং নারায়ণ মুর্মুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালতি সোরেন। উল্লেখ্য, গত ৩ মে বোরিও থানা এলাকার চাটকি গ্রামের জঙ্গল থেকে মানুষের মাথার খুলি-সহ লাশের ৯ টুকরো পাওয়া যায়। এর তিন দিন আগে মালতি সোরেনের মা সঞ্জলি টুডু থানায় তাঁর মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ২৭ এপ্রিল থেকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মৃতদেহের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মালতি সোরেনের শাড়ি পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে এই টুকরোগুলি নিখোঁজ মালতি সোরেনের হতে পারে।
পবন কুমার রায়