সবার থেকে নজর এড়িয়ে দিব্যি পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। আর ফেসবুক লাইভ করেই পুলিশের জালে সেই রানা রায়। ওড়িশা ভুবেনেশ্বরে নামি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সাল থেকে টালায় এক মহিলাকে উত্তক্ত, কটূক্তি ও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে রানা রায়কে। ওই মহিলাকে অশালীন চিঠিও দেয় বলে অভিযোগ রানার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা রান্না করার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁকে বাজে অঙ্গভঙ্গি করতেন রানা এমনটাও অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় সুখবর! বাড়ছে এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা৷ ভারতীয় রেলের নজরে উত্তর পূর্ব ভারত
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে রানা রায়ের নামে হুমকি চিঠি যায় যাদবপুরের কর্তৃপক্ষ কাছে। পুলিস সূত্রে খবর, রানা নিজেকে পুলিশ অফিসার বা কখনও আমলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বলে পরিচয় দিয়ে ৬২ হাজার টাকা প্রতারণা করে। গরিব ও ভেন্ডার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়, টালায় নিজের বাবার নামে ফ্ল্যাট থাকলেও বাবাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন রানা। পুলিশকে এমনটাই জানান রানার বাবা। পুলিশকে তিনি জানান, ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।নিজের বাবার নামে ফ্ল্যাট থাকলেও বাবাকে তাড়িয়ে নিজে ওই ফ্ল্যাট দখল করে বসে আছেন তিনি। বাসিন্দারা আবাসন দফতরে চিঠি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। নিজের ১৬ বছরের ছেলের সঙ্গে ও রিক্সা চালকদের সঙ্গে বসে মদ খেত রানা। স্ত্রীকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। রানার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাঁকে ফ্ল্যাটের ঘরে বন্ধ করে বলতেন ধর্ষণের অভিযোগ দেবেন পুলিশের কাছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক অভিযোগ আসছে এই রানার বিরুদ্ধে। সবই খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রানাই যাদবপুরের রেজিস্ট্ররকে চিঠি লিখেছিল কিনা হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে সে বিষয়েও, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।
অর্পিতা হাজরা