ছেলেই যে 'খুনি' তা জেনেও আড়াল করতে ঘটনা অন্যদিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেন বাবা। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন মালদহ পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপল্লী এলাকায় ৭০ বছরের বৃদ্ধ গুণমনি শীলের খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রতিবেশীদের ডেকে ফাঁকা বাড়িতে বৃদ্ধ খুন এবং লুটপাটের বিষয়টি জানান মৃতের ছেলে পার্থসারথী শীল। দেখা যায় বাড়ির একটি ঘরে বিছানার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় কোপানো দেহ পড়ে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: করোনায় ঘরবন্দি মানুষকে ঠকাতে জমজমাট টোপ, লকডাউনেই কোটি কোটি কামিয়েছে গার্ডেনরিচের আমির!
সমস্ত ঘরেই আলমারি, শোকেস অন্যান্য জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড। যা দেখে লুঠপাটের বিষয় মনে হওয়া স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, এলাকায় মদ্যপ ও নেশাখোরদের বাড়বাড়ন্তর অভিযোগ। এমনকী এনিয়ে প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলেও পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে তদন্তের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেন ধৃতের বাবা পার্থসারথী শীল। খুনের ঘটনার পরপরই এলাকায় পৌঁছন জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। খুনের ঘটনার পিছনে মৃত বৃদ্ধের নিকট আত্মীয় কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হয়। এরপরেই খুনের ঘটনার কিনারা হয়।
আরও পড়ুন: পানিহাটিতে প্রবল শোরগোল, গঙ্গার চরে উদ্ধার নলিকাটা দেহ! 'খুনি' ৪ বন্ধু
ধৃত স্কুল ছাত্র পুলিশকে জানিয়েছে, বাড়িতে গাছ কাটা নিয়ে বিবাদের জেরে রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদুকে খুন করে সে। খুনের পর ঘটনার কথা টেলিফোন করে জানায় বাবাকে। এরপর দুজনে পরামর্শ করে লুঠপাটের বিষয় বোঝাতে বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ করে। বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরে নিজের রক্তমাখা জামা, ভাঙা তালা নিয়ে গিয়ে হাইড্রেনে ফেলে দেয় ওই নাবালক। এরপর প্রাইভেট টিউশন পড়তে চলে যায়। এমনকী রাতে পুলিশ বাড়িতে তদন্ত করার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল সে। যদিও সে সময় পুলিশের সামনে ধৃত ছাত্র বা পরিবারের কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেনি। ধৃত ছাত্রকে রবিবার মালদহ আদালতে পেশ করবে পুলিশ।
সেবক দেবশর্মা