জানা যায় গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্ত ওই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী । তারপর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই নাবালিকার। ছয়দিন পর গত ২৩ শে ফেব্রুযারি শক্তিপুর থানার বাবলা নদীতে ওই স্কুল ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ ওই গৃহশিক্ষক এবং তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে খুন করেছে নাবালিকাকে। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ।
advertisement
আরও পড়ুন - Coronavirus: চিনের ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে এবার আমেরিকার ‘এই’ সংস্থার রিপোর্টেও দাবি
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলে পরিবার সহ গ্রামবাসীরা । দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার জেরে এদিন দিনভর উত্তপ্ত থাকে ভরতপুর থানার আমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রাম । গ্রামবাসী রতন সরকার বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকি । আমাদের বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অনেক সময় গ্রামের বাইরে যেতে হয় । এই ঘটনার পর থেকে আমরা খুব আতঙ্কে আছি । দোষীদের কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা দাবি জানাচ্ছি আমরা৷ ’’
আরও পড়ুন - South 24 Parganas News : সমুদ্রে জাল ফেলে মালামাল হয়ে গেলেন মৎস্যজীবীরা, উঠল লক্ষাধিক টাকার মাছ
গ্রামবাসী সুদেষ্ণা সরকার বলেন ‘‘আমাদের মেয়েরাও বাইরে স্কুলে এবং বাইরে টিউশন পড়তে যায়। এই ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি । মেয়েরাও ভীষণ ভয় পেয়ে আছে। পুলিশ এমন শাস্তি দিক যেন এই ধরণের কাজ না করতে সাহস পায় ।’’ জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি । পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে ।
Pranab Kumar Banerjee
