সব মিলিয়ে প্রিন্সিপালের চড় মারার কারণেই অপমানে মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি ওই পরিবারের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ এপ্রিল। তার আগের দিনই স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে বকুনি খেয়েছিল মেয়েটি। এবং তাকে সবার সামনে চড় মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
advertisement
মেয়েটির কাকার দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮ এপ্রিল মেয়েটির বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে পাঠান প্রিন্সিপাল। সেখানেই তার বাবা মায়ের কাছে নালিশ করেন প্রিন্সিপাল। জানানো হয়, স্কুলের নিয়ম ভেঙে হাতে লম্বা নখ, কানে ঝোলানো বড় দুল এবং মোবাইল নিয়ে আসে মেয়ে। এই জিনিস চলতে থাকলে স্কুল থেকে মেয়েকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল।
সেদিন বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসার পর মেয়েটি কারও সঙ্গে কোনও কথা বলেনি বলে দাবি পরিবারের। এমনকী রাতে কোনও খাবারও খায়নি সে। ৯ এপ্রিল ফের মেয়েটির নবম শ্রেণীতে পরা ভাইকে নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে যান বাবা-মা। সেখানে মেয়েকে স্কুল থেকে বের না করার অনুরোধ করেন তাঁরা। সেদিন বাড়ি ফিরে এসেই নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।
পরে তার অন্য বন্ধুরা মেয়েটির বাড়িতে শোকপ্রকাশের জন্য হাজির হলে, তখনই প্রিন্সিপাল মেয়েটিকে কয়েকদিন আগে চড় মেরেছিল বলে জানতে পারেন বাবা-মা। এর পরেই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।