মক্কায় বসে থাকলেন তিনি, আর তার মনোনয়ন জমা পড়ল মিনাখাঁ ব্লক অফিসে। সূত্রের দাবি, যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মোহারুদ্দিন জানিয়েছেন দলের তরফে তাকে প্রার্থী করা হয়েছে তা সুনিশ্চিত হয়েই মনোনয়ন পত্র তিনি তুলেছিলেন। মক্কা চলে যেতে হবে বলে সই করে প্রস্তুত রেখেছিলেন। এখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, সই কি মোহারুদ্দিনের? তাই এবার সই পরীক্ষার কাজ করতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ভবানী ভবন সূত্রে খবর, হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট দিয়ে মনোনয়ন পত্রটি পরীক্ষা করা হবে, অর্থাৎ মোহারুদ্দিনের সই পরীক্ষা করা হবে। কারণ সিআইডি কর্তারা বুঝে নিতে চাইছেন আদৌ মোহারুদ্দিন মক্কা যাওয়ার আগে সই করেছিলেন না কি তার কথা মতও অন্য কেউ মোহারুদ্দিনের হয়ে সই করে জমা করেছিলেন? মোহারুদ্দিন শুধু নন সন্দেহের ঊর্দ্ধে নন তার প্রপোজারও। তাই ফারুককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন মিনাখাঁ ব্লকের এপিআরও।
advertisement
ভবানী ভবনে হাজিরা দিয়েছেন মিনাখাঁ ব্লক অফিসের চার কর্মীও। যারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন দায়িত্বে ছিলেন। বিডিও অফিসে গিয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন সিআইডি কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিডিওকেও।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলোতে তিনি বসে রয়েছেন সৌদি আরবে। নিয়ম ভেঙে মনোনয়ন জমা পড়ার ঘটনায় জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা সরাসরি প্রশ্ন তোলেন কী করে সম্ভব হল এমন ঘটনা ? আদালতে তীব্র ভৎর্সনার মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাতিল করা হয় ওই প্রার্থীর মনোনয়ন। এখানেই শেষ নয়, জনস্বার্থ মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে এই তদন্ত করবে সিআইডি, এমনই নির্দেশ আদালতের।