দু’দিন আগেই এই মামলাতে মুর্শিদাবাদ জেলার পূর্বতন স্কুল পরিদর্শক-সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সিআইডির তরফে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই স্কুলে ২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছেন। অভিযোগ, সেই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস কুমার তিওয়ারি নিয়োগ পত্র জাল করে নিজের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে ওই স্কুলেই শিক্ষক পদে নিয়োগ করেন। বিষয়টি সামনে আসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিআইডি ।
advertisement
আরও পড়ুন- নয়ডা মেট্রোয় মঞ্জুলিকা-আতঙ্ক! জানুন ভাইরাল ভিডিও-র আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্যটা
তদন্তে নেমে বেশ কয়েক দফায় ওই স্কুল ও ডিআই অফিসে অভিযান চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, অনিমেষের নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক নথি উধাও। কী ভাবে বেতন তালিকাভুক্ত হলেন অনিমেষ সেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার সরাসরি প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বয়না রেকর্ড করতে চাইছে সিআইডি। একইসঙ্গে অনিমেষ যেদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন, সেই দিন সাত জন শিক্ষক পদে কাজ যোগ দেন, তাঁদেরও তলব করা হয়েছে। নেওয়া হবে বয়ান।
শুধুমাত্র হেডমাস্টার বাবা আশিস কুমার তিওয়ারির যোগসাজশ নয়, এই নিয়োগে বৃহত্তর চক্রের যোগ রয়েছে, দাবি সিআইডির। স্কুলের একাধিক শিক্ষক জড়িত বলে সন্দেহ রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির। বৃহত্তর চক্র কাজ করেছে বলে দাবি তাদের। চক্রের সঙ্গে যুক্ত মুর্শিদাবাদ ডিআই অফিসের কর্তাদের একাংশ, বলেও সিআইডি সূত্রে খবর। ১০ ফেব্রুয়ারি ডিআই অফিসে করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ। কারণ সিআইডির দাবি ওখানে নথিপত্র রয়েছে। ডিআই অফিসের কর্মকর্তারাও আছেন, তাই প্রয়োজনীয় নথি সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
