পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর এসআই প্রীতম বিশ্বাস নিজেই যোগাযোগ করেন পোস্টারে থাকা নম্বরে। জানতে পারেন রঞ্জিত দাস নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী মাধবী রায়, আত্মীয় সুপ্রিয়া নাইয়া ও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি আশ্রম চালাচ্ছেন। জানতে পারেন সন্তান দত্তক নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে সন্তান দত্তক নিতে পারেন। সন্দেহ আরও গভীর হয়। এরপরই হরিদেবপুর থানার এসআই পুরো বিষয়টি জানান তার থানার ওসিকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মিলনের সময় মেয়েদের কানে কানে 'এই' কথাগুলো বলুন, উত্তেজনায় পাগল হবে, উজাড় করবে নিজেকে
অনুসন্ধান শুরু হয়। দেখা যায় নিঃসন্তান দম্পত্তির মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে রঞ্জিত ও তার আশ্রমের সদস্যরা। এমনকি দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়ার যে আইনি ও বৈধ নথিপত্র দরকার, তা দেখাতে পারেননি তারা। এরপরই রঞ্জিত সহ সকলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে হরিদেবপুর থানা।চালানো হয় অভিযান। গ্রেফতার করা হয় রঞ্জিতকে।
আরও পড়ুনঃ স্টেশনে হাঁটছিলেন, রেল যাত্রীর ব্যাগ থেকে উধাও হাজার হাজার টাকা, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
তবে বাকি সদস্যরা ফেরার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক নথিপত্র ও বিজ্ঞাপনের পোস্টার।তদন্ত চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। রঞ্জিত, তার স্ত্রী সহ কয়েকজনের তথ্য এখন সামনে এলেও এই চক্রের সাথে অনেকে জড়িত আছে। তাদের খোঁজ পেতে মরিয়া পুলিশ। এখনও পর্যন্ত রঞ্জিতদের সাথে এমন কত জন দম্পতি যোগাযোগ করেছিলেন সেই বিষয়টিও জানতে চাইছে পুলিশ। কত দিন ধরে এই ভাবে আশ্রম খুলে জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছিল তা জানতে চলছে জেরা। খুব শীঘ্রই বাকিরাও ধরা পড়বে বলে আশাবাদী কলকাতা পুলিশ।
Amit Sarkar
