এমনকি, তাদের নামে কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তার খোঁজ শুরু হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, গরু পাচারের লাভের টাকা সরাতে এমন কর্মচারীদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সংগ্রহ করেছেন তাদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের নথিপত্র। সেই সকল তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়েই নজরে আসে ওই কর্মচারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
advertisement
সূত্রের দাবি, ওই ব্যবসায়ী তার কর্মীদের অ্যাকাউন্টে মাসিক বেতন দিতেন। ২০১৭ সালে এক কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে মাসিক বেতন ছাড়াও হঠাৎ কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। লক্ষাধিক টাকা অ্যাকাউন্টে এসেছে, দিন কয়েকের ব্যবধানে তুলে নেওয়া হয়েছে। যাতে সন্দেহ আরও তীব্র হয়েছে বলে দাবি এক সিবিআই কর্তার। তারা মনে করছেন গরু পাচারের টাকা এই ভাবে সরানো বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির ক্ষেত্রে কর্মীর অ্যাকাউন্টকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। তাই এবার কর্মচারীদের অ্যাকাউন্ট নিয়েও খোঁজ খবর শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাশিফল ৯ নভেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে তাদের নামে থাকা সম্পত্তিও। কারণ তাদের মাসিক আয় কত ছিল, কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তাতে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায় কি না দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর । আগামী পর্বে যাদের তালিকা তৈরি করে তলব করার পথে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । প্রসঙ্গত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আগে তারই প্রাক্তন পরিচারক, বর্তমান পরিচারকদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই।