সূত্রের দাবি, সিআইডির খাতায় নাম থাকা নীলাদ্রির সহ-অভিযুক্ত অনয় সাহার বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। নীলাদ্রি দাস গ্রেফতারের পরেই অনয়কে তলব করা হয়েছিল বলে খবর।
সূত্রের খবর, রাজ্য গোয়েন্দাদের কাছে এই অনয় সাহা চাকরি বিক্রির টাকা হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। নীলাদ্রির কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পৌঁছেছিল, এমনটাই বয়ান দিয়েছিলেন এই অনয়। শুধু অনয় নয়, এই মামলাতে প্রায় একশো জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিল সিআইডি।
advertisement
২০১৮-১৯ সালে চাকরি বিক্রিতে নীলাদ্রির জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতেই অনয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সিআইডির হাতে গ্রেফতারের অল্পদিনের মধ্যে নীলাদ্রির জামিন পাওয়া নিয়েও সিবিআই তথ্য পেতে মরিয়া। কেন জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি ? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সিবিআই কর্তাদের। ইতিমধ্যে সিআইডির দায়ের করা পটাশপুর থানার এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি পেতে তমলুক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভেবেছে সিবিআই। কারণ সিআইডির অভিযোগ পত্রে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরির জন্য কত টাকা নেওয়া হয়েছে, তার একটি দরও ধার্য করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছিল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।
আরও পড়ুন- আইপিএলে এবার আরও ধামাকা, জিও সিনেমার নতুন ফিচার জমিয়ে দেবে খেলা মাঠের বাইরেও
চক্রের মাথা থেকে এজেন্ট, সাব এজেন্ট একাধিক নাম উঠে এসেছিল সিআইডি তদন্তে। সেই সূত্র ধরেই নীলাদ্রির তথ্য এসেছিল ভবানী ভবনে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু সিবিআইয়ের নজর ওই সময় নীলাদ্রির ভূমিকা কি ছিল? কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির ইশারাতেই এই চক্র চালাতেন নীলাদ্রিরা জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের দাবি, ওই সময় এই চক্রটি শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর, পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের ।