সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার আওতায় সেখানে মদ কেনা-বেচা উভয়ই নিষিদ্ধ। ফলে এহেন রাজ্যে মদ চোরাচালানের জন্য অভিনব এবং অনন্য উপায় খুঁজে বেড়ায় মদের চোরাকারবারি এবং মাফিয়ারা।
আরও পড়ুন- বড় অভিযানে ইডি, ১৫ জায়গায় রেইড! এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত ২০০ কোটির বেশি সম্পত্তি
advertisement
আরও পড়ুন- 'দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে মেট্রো' স্টেশন! কবে থেকে চালু হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো? বড় খবর
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ট্রাকে তরমুজের মধ্যে মদ লুকিয়ে তা বিহারে পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদে পাতেন তদন্তকারীরা। ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। আসলে ট্রাকটি থামানোর পরে তাঁরা দেখতে পান, গাড়িটিতে শুধু তরমুজই ছিল। কিন্তু তরমুজ সরাতেই যেন চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তদন্তকারীরা। তরমুজ সরাতেই বেরিয়ে আসে দেদার মদের বোতল। তদন্তকারীরা দুই মদ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন। সেই সঙ্গে ওই ট্রাক থেকে প্রায় ২৫০ পেটি মদ বাজেয়াপ্ত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা। আর অন্য জন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা।
কানপুরের এডিসিপি (পশ্চিম) লখন সিং যাদব বলেছেন যে, উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর সঙ্গে মিলে অভিযান চালিয়ে কানপুর পুলিশ বাক্স বাক্স অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। ট্রাকটির চালক ও অন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, ওই বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর তরমুজের মধ্যে লুকিয়েই সেই মদ নিয়ে যাচ্ছিল মদ পাচারকারীরা। এই প্রসঙ্গে আরও অনেক তথ্য এবং চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত চক্রের হদিশ পাওয়ার জন্য ধৃতদের আরও জেরা করা হচ্ছে। শিগগিরই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।