কে বা কারা, কি উদ্দেশ্যে বোমাগুলি মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুট্টার ক্ষেতের আড়ালে যেভাবে বোমাগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বাইরে থেকে সাধারণ চোখে সেগুলি দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়। এর থেকে পুলিশের অনুমান, কোনওরকম অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই বোমাগুলি ওই এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন - South Bengal Weather Alert: স্বস্তির দিন কী শেষ? আবহাওয়ার বড় পাল্টি, নাজেহাল জীবন
advertisement
আরও দেখুন
এদিন সকালে ওই এলাকায় চাষের কাজে যাওয়া কয়েকজন কৃষক লুকনো বোমাগুলি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছই কুম্ভিরা ফাঁড়ি ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকা টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।এরপর লাল ফিতের ফাঁস দিয়ে এলাকা কর্ডন করে রাখে পুলিশ। আশেপাশের কোনও বাসিন্দাকে এলাকায় ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। এলাকায় বসানো হয়় পুলিশ পিকেট। খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, লুকনো বোমা খুুুুব বেশি দিনের পুরনো নয়। কারণ, ওই এলাকায় প্রায় নিয়মিত চাষের কাজে যান কৃষকরা। বেশি দিন আগের হলে অনেক আগেই তা কৃষকদের নজরে পড়ার কথা। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই ওই এলাকায়় বোমা মজুত করা হয়েছে বলে অনুমান।
উল্লেখ্য, এর আগেও মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরে একাধিক এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা হয়েছে। মাঠে ফেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়়় একাধিক এলাকায় শিশুরা পর্যন্ত জখম হয়েছে। এরপর পুলিশ অভিযানে গতি আনলেও এখনও দুষ্কৃতীরা যে বোমা তৈরি এবং মজুত করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে দৌলতেরহাট এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তা ফের একবার স্পষ্ট। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনার পিছনে যে বা যারা যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Sebak DebSarma