সোমবার মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতার হুঙ্কার। এর একদিন পরেই মুর্শিদাবাদেরই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর হানা। বাড়ি-অফিস-গুদামে তল্লাশিতে উদ্ধার ১১ কোটি। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। শাসক দল শুভেন্দুকে নিশানা করে বলছে, ‘‘যার বাড়িতে গিয়েছেন উনি আইনি মোকাবিলা করবেন। কিন্তু বিজেপির নেতারা আগে থেকে বলে দিচ্ছে। তারপর এজেন্সি নেতার বাড়ি যাচ্ছে। এটা ভীষণ দৃষ্টিকটু।’’ পাল্টা বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা কেন্দ্রের কোনও ধরনের সংস্থার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করে বলেন, ‘‘তৃণমূল বিধায়ক যদি তাঁর সেই বিপুল টাকার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেন তাহলে উনি তা ফেরত পেয়ে যাবেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন- বন্দির গানে ভেসে গেল সংশোধনাগার, ভিডিও ভাইরাল হতেই মদ্যপের জন্য আসছে বলিউডি অফার!
তবে পশ্চিমবঙ্গ এখন কালো টাকার হাব-এ পরিণত হয়েছে। শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের যেখানেই হানা দিচ্ছে সেখানেই শুধু মিলছে টাকার পাহাড়। বুধবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের একাধিক ঠিকানায় আয়কর দফতর হানা দেয়। উদ্ধার হয় ১১ কোটি টাকা। এরপরেই সরব হন জাকির। দাবি করেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে তিনিই সর্বোচ্চ করদাতা। এভাবে তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা দেওয়া উচিত হয়নি।’’
আরও পড়ুন- ১৯ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন নাড্ডা, নদীয়ায় করবেন সভা
যদিও তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন অধীর চৌধুরী। অধীরের কথায়, ‘‘উনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কীভাবে টাকা পেয়েছেন জানি না। তবে জাকির কাউকে শিক্ষক করবে বলে টাকা খেয়েছে বলে আমার জানা নেই। কাউকে ঘর দেবে বলে পয়সা খেয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে আমার কাছে কোনও অভিযোগ নেই।’’ তৃণমূল বিধায়ক তথা ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার ঘিরে এভাবেই বঙ্গ রাজনীতির হাওয়া এখন গরম।