হুগলি জেলার ধনিয়াখালি বিধানসভার ধনিয়াখালী ২ নং অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন সুদীপ ঘোষ। নদিয়ার কল্যাণীর বুদ্ধপার্কের হাইরোডের কাছে একটি বেসরকারি হোটেলে ঝুলন্ত অবস্থায় সুদীপ ঘোষের দেহ উদ্ধার করে কল্যাণী থানার পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরে বুদ্ধপার্কের কাছে একটি হোটেলে ছিলেন সুদীপ বাবু। শনিবার সকালে হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুদীপবাবুর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলের ঘরে ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুদীপবাবুর দেহ উদ্ধার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘সোনাই ডাকছে, বেঁচে আর কী করব’! কান্না থামছে না বেহালার দুর্ঘটনায় মৃত সৌরনীলের মায়ের
বিজেপি সূত্রে খবর, ধনিয়াখালি বিধানসভার ধনীয়াখালি ২ নম্বর এলাকার মণ্ডল সভাপতি ছিলেন তিনি। এবং এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুরবাড়ি পঞ্চায়েতের গ্রাম সংসদের প্রার্থী ছিলেন। পরিবারের দাবি, ‘খুন করা হয়েছে সুদীপকে। রাজনীতি করত বলে কেউ দমাতে পারেনি।’ দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। কল্যাণী থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির হুগলি জেলার সহ-সভাপতির অভিযোগ, এটি নিছক একটি আত্মহত্যা নয়। এর পিছনে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। যতই পারিবারিক অশান্তি থাকুক না কেন তাই বলে এভাবে মৃত্যু।
আরও পড়ুন: মমতার ইভিএম হ্যাকের বিস্ফোরক দাবির পাল্টা শুভেন্দু, বললেন, ‘সবই পরাজয়ের আশঙ্কা’!
২০১৯ সাল থেকে লড়াই করে আসছিলেন সুদীপ ঘোষ। তবে মৃতের বাবার দাবি এলাকায় দামাল নেতা ছিল তাঁর ছেলে। বাড়ির বাইরে থাকলেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তাঁর সঙ্গে। ছেলের সঙ্গে বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল দাবি মৃত নেতার বাবার। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পুলিশ মর্গে এদিন ময়নাতদন্ত হয় মৃত বিজেপি নেতার।
রঞ্জিত সরকার