কালনার প্রফেসার কলোনি এলাকায় এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত ওই শিক্ষিকার নাম সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sunanda Banerjee)। কালনার একটি মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান পুলিশের। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্র জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পড়াশোনা নিয়ে ছেলে-মায়ের ঝগড়া, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!
মৃতের ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে জানান, পড়াশোনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরে মঙ্গলবার দুপুরের পরই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তার মা। তারপর থেকে কোনওরকম সাড়াশব্দ দিচ্ছিলেন না তিনি। জানা গিয়েছে,সেই অবস্থাতেই মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে গোটা একটা দিন ওই বাড়িতেই ছিল তাঁর ছেলের সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে ফের দরজায় ডেকে সাড়া না পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে কলকাতায় মামার বাড়ি চলে যায় সম্ভ্রম। পুরো ঘটনা সেখানে মামাদের গিয়ে খুলে বলে সে। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে এসে কালনা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর কালনা থানা পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যেই ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারপরই কালনা থানা পুলিশ কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ পাঠায়। দু’দিন ধরে দেহ ঘরের মধ্যে থাকার ফলে তা থেকে থেকে গন্ধ বেরতে শুরু করেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই দাবি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালনার প্রফেসার কলোনি এলাকায়।
আরও পড়ুন-বেহালার পর হাওড়া! ঘর থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ
মায়ের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের না ডেকে সম্ভ্রম কেন সুদূর কলকাতায় মামার বাড়িতে চলে গেল সেই প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। তাঁরা বলছেন, ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ওই মহিলা দরজায় খিল দেওয়ার পর যখন সাড়া দিচ্ছেন না তখন তার ছেলে প্রতিবেশীদের খবর দিলে হয়তো তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু সে তা না করে সারাদিন কেন ঘরে মায়ের খোঁজ না নিয়ে বসে রইল, কেনই বা পরদিন মায়ের সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের খবর না দিয়ে কলকাতায় মামা বাড়ি চলে গেল সেটাই সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
Saradindu Ghosh