সিআইডি সূত্রে খবর, অতনুর সঙ্গে অনলাইনে মোবাইল গেম খেলতে গিয়ে আলাপ হয় ওই পরিচিত বান্ধবীর।অতনুর ফোন থেকে ওই বান্ধবীর নম্বর মেলায় তাঁকেও সতেন্দ্র হোয়াটস অ্যাপ করেছিল ভয় দেখানোর জন্য। যদিও ওই বান্ধবীর সঙ্গে অতনুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই।ফলে শেষে বুঝতে পেরে সতেন্দ্র অতনু মায়ের ফোনে হোয়াটস অ্যাপ করে মুক্তিপণ চায় বলে, সিআইডি সূত্রে খবর। ওই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কয়েকবার অতনুর মুখে সতেন্দ্র নাম শুনলেও, মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় ছিল না ওই বান্ধবীর। ফলে সতেন্দ্রকে চিনতেন না ওই বান্ধবী।অপহরণ-খুনের পর কেন ওই বান্ধবীকে হোয়াটস অ্যাপ করেছিল সতেন্দ্র, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ওই বান্ধবী জানান সিআইডিকে।
advertisement
সিআইডি সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র খুনের পিছনে আক্রোশের কী কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ব্যক্তিগত রাগ ও প্রতিহিংসা থেকেই খুন। পঞ্চাশ হাজার টাকা ও গালিগালাজ করায় অপমানিত হওয়ার জন্য আক্রশ থেকেই খুন, সতেন্দ্র সিআইডি কাছে দাবি করলেও আদতে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। বাগুইআটি জোড়া খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী ও চালক কানাই কুমারকে দফায় দফায় জেরা করছে সিআইডি। এই খুনের ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রসঙ্গত চলতি বছরে ২২ অগাস্ট বাগুইআটি থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পরিবারের কাছে মুক্তিপন চাওয়া হয়। ঘটনার ১৬ দিন পর গ্রেফতার হয় অভিজিৎ নামে এক অভিযুক্ত। তাকে জেরা করে জানা যায় দুই ছাত্রকে শ্বাস রোধ করে গাড়ির মধ্যে হত্যা করা হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী। সেই বাকিদের আরও কয়েকজনকে খুনের জন্য ভাড়া করে হত্যা করে। এরপরই গোয়েন্দারা আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। হাওড়া স্টেশন টিকিট কাউন্টার সামনে থেকে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী। সিআইডি তাকে দফায় দফায় জেরা করছে। কারণ দুই ছাত্রকে খুনের পিছনে কী কারণ লুকিয়ে, তা জানতে চায় তদন্তকারীরা। সতেন্দ্র ও বাকি অভিযুক্তদের মুখোমুখি জেরা করছে সিআইডি।