পুলিশ সূত্রে খবর, 'দিসপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গুয়াহাটি ও শিবসাগর জেলার পুলিশ লোহিত কন্সট্রাকশনের সঙ্গে যুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।' এদের জেরা করেই অপরাধের চক্রীর হদিশ পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ধৃতরা ইমরান শাহ চৌধুরির সংস্পর্শে এসেই এই ছক কষেছিল। ৩ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে খুব সহজেই এই কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
ইমরান তাদের কথা দিয়েছিল, প্রায় ৩.১৬ কোটি টাকার কনট্র্যাক্ট পাইয়ে দেবে। এবং তার বদলে ৯ লক্ষ টাকা কমিশন নেবে। বিনীত পোদ্দার ও দীপজ্যোতি দত্ত বন্ধু ও পরিবারের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা জোগার করে ইমরানকে দিয়েছিল। সেই তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সই জাল করা কাগজ দিয়েছিল কাজের জন্য। সেই কাগজই পিএইচই দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জমা পড়েছিল।
আরও পড়ুন: ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় জোর সওয়াল সিবলের, পরের সোমে ফের শুনানি সর্বোচ্চ আদালতে
পুলিশ জানতে পেরেছে, ইমরান আরও তিনজনের সাহায্যে এই ভুয়ো নথিগুলি তৈরি করেছিল। অভিযুক্তরা হল দিলিপ দাস ওরফে রুবু, গুয়াহাটির বাসিন্দা। হেঙ্গেরাবাড়ির অনুপম চৌধুরী ও কাজলগাঁও এলাকার প্রকাশ বসুমাতারি। তারাই ভুয়ো নথি দিয়েছিল ইমরানকে। তার বদলে ৩ লক্ষ টাকা কমিশন নিয়েছিল। এফআইআর দায়েরের পরই ইমরান ও রাজীব দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল। গুয়াহাটি পুলিশ দিল্লি গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সেখান থেকে। এখনও অনুপম ও প্রকাশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।