TRENDING:

Asansol News: ভালবাসার সংসারের এ কী পরিণতি, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবীকে এ কী করে বসলেন শ্বশুর

Last Updated:

Asansol News: ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আসানসোল: আসানসোলে হাড়হিম ছাড়া হত্যা কাণ্ড। খুন হলেন আসানসোল আদালতের প্রখ্যাত আইনজীবী। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার আইনজীবীর স্ত্রী এবং শ্বশুর। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্বশুরের হাতে খুন হয়েছেন আসানসোল আদালতের আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাস। তাকে আসানসোলের বাড়িতে খুন করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্ডালের খাস কাজোরা এলাকায়। সেখানে প্রমাণ লোপাটের জন্য আইনজীবীর দেহটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১০ তারিখে আইনজীবীর স্ত্রী শম্পা দাস, ব্রজেশ্বর দাসের নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আইনজীবীর আত্মীয়দের তরফ থেকে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে খবর। এরপর জোরদার তদন্ত শুরু করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে জেরা করা হয় ব্রজেশ্বর দাসের স্ত্রী শম্পা দাস এবং তার বাবা তারকনাথ দাসকে। লাগাতার জেলার মুখে শম্পা দেবী এবং তার বাবা পুলিশের কাছে মুখ খোলেন। স্বীকার করে নেন, আইনজীবীকে তারা খুন করেছেন এবং দেহটি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

advertisement

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আসানসোলের গোধূলি এলাকায় যে ফ্ল্যাটে ব্রজেশ্বর বাবু থাকতেন, সেখানেই তাকে খুন করা হয়েছে। মৃতের শ্বশুরমশাই পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে রাগের মাথায় আইনজীবীর কানের নিচে একটি চড় মারেন। পরে পা দিয়ে কানের কাছে আঘাত করেন। তাতেই আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর একটি চারচাকা গাড়ি করে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় অন্ডালের খাস কাজোড়া এলাকায়।

advertisement

আরও পড়ুন :  দিনে কাজ, রাতে পড়া, NEET-এ বাজিমাত করে ডাক্তার হওয়ার পথে কাশ্মীরের দিনমজুর কিশোর

সেখানেই রয়েছে তারকনাথ দাসের বাড়ি। বাড়ির পিছনের দিকে জঙ্গলে আইনজীবীর দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।তারপর দেহের ধ্বংসাবশেষ ফেলে দেওয়া হয় বাড়ির পিছনের একটি ছোট জলাশয়ে। যেখান থেকে মৃতদের হাড়গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছে। এমন নৃশংস হত্যাকান্ড দেখে গোয়েন্দাদের চোখ কপালে উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাসের সঙ্গে তার স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই রাগ থেকেই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। যদিও খুন করার আসল কারণ কি, তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শম্পা দেবী এবং তার বাবাকে সাহায্য করার অভিযোগে মনোজ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি ব্রজেশ্বর বাবুর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Asansol News: ভালবাসার সংসারের এ কী পরিণতি, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবীকে এ কী করে বসলেন শ্বশুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল