না ছিল কোমরে দড়ি,না ছিল হ্যান্ডকাফ। নিজাম যথারীতি অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে বেঞ্চের উপর বসে ছিল। এমন সময় আর একজন আসামীকে আনতে ওই পুলিশ কনস্টেবল কোর্ট লকআপে চলে যায়। সেইসময়েও নিজাম আদালত কক্ষেই বসেছিল। সেই বসে থাকা অবস্থায় আসামী শুনতে পায়, পাশাপাশি সবার জামিন হয়ে গেছে। এক উকিল হাত নাড়িয়ে বলে, যাদের জামিন হয়ে গেছে,তারা যেন বেরিয়ে যায়। ওই অভিযুক্তও ভেবেছিল ওকেও বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷ তাই ও সবার সঙ্গে বেরিয়ে যায়
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: আবহাওয়ার তোলপাড়! প্রবল তুষারপাত, বৃষ্টির অ্যালার্ট, রইল বাংলার ওয়েদার আপডেট
এই কথা পরে নিজাম নিজেই জানিয়েছে৷ যার ফলে ,আদালত থেকে স্বাভাবিকভাবে নিজাম বেরিয়ে যায়৷ ওখান থেকে ট্রেন ধরে শিয়ালদহ, শিয়ালদহ থেকে সোজা পৌঁছে যায় বর্ধমান।সেখানে কয়েকদিন মজুরের কাজও করে। নিয়মমাফিক বাড়িতে ওর স্ত্রী মনো ঢালিকে ফোন করে। ফোন করার পর মনো ওকে জানায় পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে। বাড়িতে এসে যাতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আরও পড়ুন - Nabanna: স্মৃতির অভিযোগের পরেই কি এত তৎপরতা? নবান্নের বৈঠক ঘিরে প্রশ্ন
সেই কথা হওয়ার পরেই ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা বেলা, নিজাম ভাঙ্গরে শ্বশুরবাড়িতে এসে পৌঁছায়। নির্ধারিত খবর অনুযায়ি আলিপুর থানার পুলিশ অফিসারেরা সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। এই নিজাম যে আদালত থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়নি, সেটা কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই অভিযুক্তের কথায় বোঝা গেছে। ওকে আবার আলিপুর আদালতে হাজির করে আলিপুর থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তবে নিজামের এই বক্তব্য আলিপুর থানার পুলিশ সহজে বিশ্বাস করছে না।
SHANKU SANTRA
