নভেম্বরের ১৭ তারিখ বেঙ্গালুরুর জেপি নগরে এক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটিকে চিহ্নিত করে ময়ানতদন্তে পাঠায়। এর পরে ওই বৃদ্ধের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। সেই মোবাইল থেকে জানতে পারে ওই ব্যক্তির ফোন শেষবার সক্রিয় ছিল এক গৃহবধূর বাড়িতে। ৩৫ বছরের সেই বধূর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও, শেষে সবকিছু বলে দেন ওই বধূ। আর তা শুনেই হতবাক সকলে।
advertisement
পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই বৃদ্ধের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যেই ওই বৃদ্ধ তাঁর বাড়িতে আসতেন। ওই গৃহবধূকে নিজের প্রেমিকা বানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। ঘটনার দিন শারীরিক সম্পর্কের সময়ে মৃগী রোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধ। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই বৃদ্ধের বাড়িতে খবর দিলে সম্মানহানি হতে পারে এই ভয়ে নিজের স্বামী এবং ভাইকে সবটা খুলে বলেন ওই বধূ। এর পরে ওই বধূ এবং তাঁর ভাই- স্বামী মিলে বৃদ্ধের দেহ প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নির্জন স্থানে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেআইনি নিয়োগে এবার নাম জড়াল ব্রাত্য বসুর
মৃতের বাড়ির তরফে পুলিশে জানানো হয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল। মাঝে কিছুদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। ঘটনার দিন এক আত্মীয়ের কাছে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই বৃদ্ধ। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মিলছিল না।
আরও পড়ুন, 'ডাক্তারদের গাফিলতিতে মৃত্যু হলে...', বিধানসভা থেকে কঠোর 'ব্যবস্থার' সিদ্ধান্ত ঘোষণা মমতার
যদিও পুলিশ এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে মৃতের প্রেমিকা-সহ তাঁর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।