পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৪ সেপ্টেম্বর। সেদিন রাতে কুকুর হত্যাকারী দুষ্কৃতী (miscreants) তাম্মাডিহালি জঙ্গল (Tammadihalli forest) এলাকায় কুকুরগুলিকে জ্যান্ত কবর দেয়। অন্যান্যদিন যেখানে কুকুরের চিৎকার, ডাকাডাকিতে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠত, দি কয়েক ধরে দাক কমতে কমতে সেদিন আচমকাই কোনও কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছিল না। এলাকা একেবারে নিস্তব্ধ ছিল। তাতেই সন্দেহ (suspicious) হয় এলাকাবাসীর। তখন তাঁরা খবর দেন স্থানীয় পশুপ্রেমী ও পশু অধিকার সংগঠনের (animal rights activists) সদস্যদের। এরপর তাঁরা সেই এলাকা খতিয়ে দেখতেই সাংঘাতিক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সংলগ্ন ভদ্রভাটি গ্রামীন পুলিশ ঘটনার তদন্তভার নেয়। তবে কী কারনে এতগুলো অবলা পশুকে এভাবে হত্যা করল দুষ্কৃতী, তার কারণ এখনও জানা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে নারকীয় অত্যাচার, দগদগে ক্ষত নিয়ে মুম্বইয়ে 'নির্ভয়া'র মৃত্যু
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কুকুরের নির্বীজকরণের (neutering process) জন্য সরকার থেকে যে টাকা দেওয়া হয়, তা পকেটস্থ করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ঠিকাদার বা কন্ট্রাক্টর (contractor)। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১১ (Treating animals cruelly) এবং ৪২৯ (Mischief by killing or maiming cattle, etc., of any value or any animal of the value of fifty rupees) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিজুক্তের কড়া শাস্তির আর্জি জানিয়েছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনার আগে একবার ৩৮টি হনুমানকে (monkeys) খুন করা হয়েছিল কর্ণাটকের হাসান জেলায়। সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।