ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবর মাসে। বউবাজার থানা এলাকার এক বাসিন্দা হঠাৎ তাঁর মোবাইলে টেক্সট মেসেজ পান। পুলিশের দাবি, সিইএসসি-র নামে আসা ওই মেসেজে বলা হয় ওই ব্যক্তির বকেয়া বিল খুব শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলতে হবে। এখানেই শেষ নয়। বিল মেটাতে ব্যবহার করতে হবে ‘কুইক সাপোর্ট’। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই আতঙ্কেই মোবাইলে ইনস্টল করে ফেলেন ওই অ্যাপলিকেশন। এরপর নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে ১১টাকা দেন। এরপরই লক্ষ্য করেন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা উধাও।
advertisement
আরও পড়ুন- কোলেস্টেরল মানেই শত্রু নয়! সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই অভ্যাস
অভিযোগ জানান বউবাজার থানায়। তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। আর তাতেই সামনে আসে খাস কলকাতার উপকণ্ঠে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলা প্রতারণা চক্র। জামতারা গ্যাঙের সদস্যরা কলকাতার কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে শুরু করেছিল এই কারবার। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় গ্যাঙের চার সদস্যকে। যারা বরাহনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।চারজনই জামতারার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । ধৃতদের আস্তানা থেকে চারটি মোবাইল, একটা ল্যাপটপ, ১৬টি এটিএম কার্ড, ৬টি সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেগুলি প্রতারণার কাজে ব্যবহার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি ।
ধৃতদের মধ্যে অন্যতম পাণ্ডা রবি কুমারকে জেরা করেই মেলে আরও ছ জনের খোঁজ । অভিযান চলে রাজারহাট এলাকায়। যেখানে একসঙ্গে ছিল তারা। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য কলকাতার বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে জামতারা থেকে বেরিয়ে এসে শহর কলকাতার উপকণ্ঠে যে ভাবে বাড়ি ভাড়া করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। বাকি ছ’জনকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়। তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই প্রতারণার বাইরে আর অন্য কোনও অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।