তাই বিরোধীদের কাজে গতি আনতে বিজেপি বিরোধী জোটের ফর্মুলা ঠিক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবনে বৈঠক করলেন তিনি ৷ সেই বৈঠকে বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আর এই জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমের সারিতে রাখলেন অখিলেশ এবং মায়বতীকেই ৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী লোকসভা ভোট আকর্ষণীয় হবে ৷ কারণ বিজেপির যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে ৷’ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হার যে নিশ্চিত ৷ সেই বিষয়টি নিয়ে এদিন যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী দেখাল মুখ্যমন্ত্রীকে ৷
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল আর নেই ৷ যে রাজ্যে যারা শক্তিশালী তারা লড়ুক ৷ প্রতি লোকসভা আসনে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিতে হবে ৷’ পাশাপাশি মায়াবতী-অখিলেশের জোট নিয়ে তিনি বলেন, অখিলেশ ও মায়াবতীর ভূমিকা আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ৷
পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমশ জোটবদ্ধ হচ্ছে বিরোধীরা ৷ কংগ্রেস এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দু’টি রাজনৈতিক দল টিডিপি এবং ওয়াইএসআরের পর এবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনল সিপিএম ৷ কিন্তু তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি এবং আইডিএমকে সদস্যদের লাগাতার বিক্ষোভে লোকসভা অচল থেকেছে দিনের পর দিন। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, এই বিক্ষোভ আসলে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্যই। এই প্রসঙ্গেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘সংসদে মর্যাদা পাচ্ছে না বিরোধীরা ৷ অনাস্থা আনলেও আলোচনা হচ্ছে না ৷’
তবে, বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করলেও কংগ্রেসকে এখনই ব্রাত্য করছেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিনের সংসদ ভবনের বৈঠকে আরও একবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সনিয়াজি-রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ৷ রাহুল প্রায়ই এসএমএস করেন ৷ সনিয়াজি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৷ কিন্তু দীনেশ ত্রিবেদীকে যোগাযোগ রাখতে বলেছি ৷’
প্রসঙ্গত, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ফর্মুলা সব আঞ্চলিক দলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে চলেছে ৷ কারণ ২০১৫ সালে এই ফর্মুলাই থামিয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি - অমিত শাহের বিজয়রথ। সেই ফর্মুলাতেই দুহাজার উনিশে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৌশলে এগোতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের ৷ আর এই কৌশলে দলে ভাঙন ধরার আশঙ্কায় গেরুয়া শিবির ৷ অপরদিকে, যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরির মতো বিক্ষুদ্ধ ও প্রবীণ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চলারও বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷