কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে পুলিশ জানাচ্ছে, নয়াদিল্লির বুরারিতে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের থেকে বেশি আত্মহত্যার সম্ভাবনাই প্রকট হচ্ছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টও এই প্রমাণই দিয়েছে ৷ এমনকী কারও শরীরেরই আঘাত বা জোরজবরদস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন:বুরারি কাণ্ডের মতোই হাড় হিম করা ৫ রহস্য
আর সেই জন্যই দ্রুত সমাধান সূত্রে পৌঁছতে সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভরসা রাখছে পুলিশ ৷ আগেই ভাটিয়া বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল দিল্লি পুলিশ ৷ কিন্তু সেখানে বেশিরভাগ সিসিটিভি খারাপ থাকায় ফুটেজ পাওয়া যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত একটি সিসিটিভি থেকে ফুটেজ পেতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে-
advertisement
• রাত ১০টার ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই বাড়ির বড় ছেলে ভবনেশ ভাটিয়ার স্ত্রী সবিতা ও তাঁদের মেয়ে নীতু চারটি টুল বাড়িতে নিয়ে আসেন ৷ এই প্লাস্টিকের টুলগুলিই আত্মহত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৷
• আবার রাত ১০:৩৫-এর ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ললিত ভাটিয়ার ছেলে শুভম বেলিভারি বয়ের থেকে খাবার নিচ্ছে ৷
• এরপর আবার শুভমকে কাঠের দোকানে গিয়ে ইলেকট্রিকের তারের বান্ডিল নিয়ে আসতে দেখা যায় ৷ ১০:৩৯ নাগাদ সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে সে ৷
• ১০:৫৭-তে পোশা কুকুর জ্যাকিকে নিয়ে বেরতে দেখা যায় ভবনেশকে ৷ ১১:০৪-এ ফিরে আসেন তিনি ৷ এরপরেই ছাদে নিয়ে গিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় জ্যাকিকে ৷
আরও পড়ুন: মৃত বাবার গলাতেই কথা বলতেন ললিত, বুরারি কাণ্ডে শুরু সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি
এই সমস্ত ফুটেজগুলি দেখার পর আবারও আত্মহত্যার সম্ভাবনাই জোরাল হচ্ছে ৷
ভাটিয়া পরিবারের রহস্যময় ডায়রিতে ঠিক এই কাজগুলি করার নির্দেশই দেওয়া ছিল ৷ ওইদিন রাত ১০টায় বাইরে থেকে খাবার আনানোর নির্দেশ ছিল ৷ সেই মতো পাড়ার একটি খাবারের দোকানে ২০টি রুটির অর্ডার দেওয়া ছিল ৷ ঋষি নামে সেই দোকানের এক কর্মচারী রুটি পৌঁছে দিতে এসেছিল ভাটিয়াদের বাড়িতে ৷ সম্ভবত ঋষিই শেষবারের মতো ভাটিয়াদের জীবিত দেখেছিলেন ৷ তবে ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ভাটিয়াদের মধ্যে কোনও রকম অস্বাভিকতা তিনি দেখতে পাননি ৷
আরও পড়ুন:মৃত বাবা তাঁদের বাঁচাবেন, বিশ্বাস করতেন ভাটিয়া পরিবারের ছোট ছেলে