একই পণ্য বা পরিষেবা। তার জন্য আলাদা আলাদা কর। কোনও কর রাজ্য আদায় করে। কোনও কর কেন্দ্র। করব্যবস্থা সরলীকরণের লক্ষ্যে জিএসটি বা গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সের ভাবনা।
এই লক্ষ্যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে এমপাওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। যুগ্ম কর্মসমিতির মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে করকাঠামো নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু, জিএসটির বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক মতানৈক্য।
advertisement
বিজেপি ও কংগ্রেস একে অপরকে এ জন্য দোষারোপ করতে থাকে। কংগ্রেস আমলে বিরোধিতা করে বিজেপি। ২০১৪-য় বিজেপি ক্ষমতায় এলে একই ভূমিকা কংগ্রেসের। শিল্প মহলের চাপ সত্ত্বেও রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে উঠছিল না। কিন্তু, সব রাজ্যই এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছিল। এক এক রাজ্যে একেক রকম করের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে জিএসটিতে। শেষমেশ কংগ্রেসের দাবি মেনে নেয় মোদি সরকার। তামিলনাড়ু ছাড়া সব রাজনৈতিক দল জিএসটি বিলের পাশে দাঁড়ায়। এক দশকের অপেক্ষা শেষ হয়। ২০১৬-র ৩ অাগস্ট ভারতীয় কর ব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন। শুধু আর্থিক ক্ষেত্র নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মজবুত করার ক্ষেত্রেও এ এক বড় পদক্ষেপ।