আয়করের ৮০ ডি ধারায় স্বাস্থ্য বিমার (Health Insurance Plan) প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এই আইনের আওতায়, করদাতা নিজের এবং তাঁর পিতা-মাতার স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন।
সীমা শেষ হওয়ার পরেও সুযোগ!
এই প্রসঙ্গে বিমা এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা মনোজ সুইটি জৈন বলছেন, ‘আয়করদাতা ৮০ সি ধারার সম্পূর্ণ ব্যবহারের পরেও ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কর সাশ্রয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৮০ ডি ধারায় ৬০ বছরের কম বয়সী কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পান। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরিজীবীরা এই সরকারি স্কিমে বিনিয়োগ করলে পাবেন সবচেয়ে বেশি রিটার্ন! জানুন কীভাবে!
কীভাবে এই ছাড় মেলে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি করদাতার বয়স ৬০ বছরের কম হয় এবং তিনি নিজের ও তাঁর পিতা-মাতার জন্য একটি স্বাস্থ্য বিমা পলিসি কিনে থাকেন, তাহলে করদাতা প্রিমিয়ামে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর সাশ্রয় করতে পারেন। আর যদি করদাতার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয় তাহলে নিজের এবং পিতা-মাতার জন্য স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
শুধু কর ছাড়ের জন্য বিমা কেনা ঠিক নয়
৮০ডি ধারার অধীনে স্বতন্ত্র পলিসি বা মেডিক্লেম, ফ্যামিলি ফ্লোটার প্ল্যান, জটিল রোগের বিমা, লাইফ ইনস্যুরেন্সের হেলথ রাইডার এবং স্বাস্থ্য বিমার অন্যান্য ক্ষেত্রে কর ছাড় মেলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্যই প্রত্যেকের স্বাস্থ্য বিমা কেনা উচিত। শুধুমাত্র আয়করে ছাড় পাওয়ার জন্য কেনাটা ঠিক নয়।
পুরো পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য নীতি
প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়ছে। হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলি এখন আগের তুলনায় অনেক ব্যয়বহুল। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সবার জন্য স্বাস্থ্য বিমা কেনা উচিত। এর ফলে পরিবারের কেউ হঠাত গুরুতর অসুস্থ হলে সঞ্চিত অর্থে হাত পড়বে না। ঋণ নেওয়ারও প্রয়োজন হবে না। তাই পরিবারের সুরক্ষার জন্যই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রয়োজন।
