অনেকের মাথাতেই নিত্যনতুন ব্যবসার আইডিয়া ঘোরে। তাকে বাস্তবের মাটিতে রূপ দেওয়াটাই আসল। আবার সব আইডিয়াই যে ফলপ্রসূ হবে তাও নয়। এটাই যে সঠিক আইডিয়া, এর উপর বাজি ধরা যায়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে কী করে?
আরও পড়ুন: LIC না কি মিউচুয়াল ফান্ড? আপনার জন্যে কোনটা ভাল দেখে নিন!
advertisement
সমস্যা চিহ্নিত করা: জীবন মানেই সমস্যাসঙ্কুল। সে সব কাটিয়েই লড়ে যেতে হয়। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের কোন সমস্যাগুলো কাঁটার মতো বেঁধে? ধরা যাক, কেউ হাওড়া বা হুগলিতে থাকেন। কিন্তু চাকরিসূত্রে তাঁকে রোজ কলকাতায় যেতে হয়। বাস, ট্রেনের ভিড়ে কাহিল অবস্থা। যাত্রাপথে ছাতা বা ব্যগ বা অন্যকিছু প্রতিদিনই খোয়া যায়। সে সবের খোঁজে হত্যে দিতে হয় ট্রেন বা বাস ডিপোয়।
প্রযুক্তিতে সড়গড়: হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু ডিপোয় গিয়ে হারানো জিনিস খুঁজে দেখার মতো অফুরন্ত সময় কার আছে! এখন প্রত্যেকের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। এর অপার সম্ভাবনা। প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য হাতের মুঠোয়। যোগাযোগেরও নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। এই সব হারানো জিনিস সঠিক ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন অ্যাপ তৈরি করা যায়।
সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি: স্মার্টফোনের সঙ্গে ইন্টারকম সংযোগ করলেই সম্ভাবনার নতুন জগত খুলে যাবে। স্মার্টফোনের সাহায্যে, একটি স্মার্ট অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম নাগরিকদের বৈশিষ্ট্য এবং সুযোগ-সুবিধাগুলিতে অ্যাকসেস দিতে পারে।
আরও দক্ষতা: রিয়েল টাইম ভিডিও সাধারণ জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত করেছে। স্মার্টফোনের সঙ্গে স্মার্ট অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেমও এভাবেই কাজ করতে পারে। ম্যানুয়ালি ডেলভারির দিনও ফুরিয়ে আসছে। এমনকী ডেলিভারি নিতেও আর দরজা খোলার প্রয়োজন নেই। স্মার্টফোনে পাস পাঠালেই ডেলিভারি বয় ভিতরে ঢোকার অনুমতি পায়।
মাথায় রাখতে হবে, ভাল আইডিয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটা শুধুই প্রথম ধাপ। সেই ধারণাটিকে ব্যবসায় পরিণত করার চেষ্টা এবং গ্রাহকের জীবনযাত্রায় বদল আনার দিকেও সমান মনোযোগ দিতে হবে।