এই অধিগ্রহণের সঙ্গে তৈরি হল নতুন রেকর্ডও। মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিগুলির মধ্যে ‘স্বতন্ত্র মাইক্রোফিন’ বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা। কোম্পানির এইউএম ১৩০ বিলিয়ন রুপি (১.৬ বিলিয়ন ডলার) ছুঁতে চলেছে। অধিগ্রহণের ঠিক পরেই এক্স হ্যান্ডেলে অনন্যা লেখেন, ‘এখন এক নম্বর হওয়াই আমাদের লক্ষ্য’।
নন ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিগুলির মধ্যে বর্তমানে এক নম্বরে রয়েছে ‘ক্রেডিট অ্যাক্সেস গ্রামীণ’। এটা বেঙ্গালুরুর সংস্থা। কোম্পানির মোট এইউএমের পরিমাণ ২.৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, কোম্পানি ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে। এই কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০০ টাকারও কম খরচে দিঘা পৌঁছে যাবেন, অবাক লাগছে? এখনই জানুন
এই অধিগ্রহণকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন মাইক্রোফিনান্স শিল্প সংস্থা এমএফআইএন ইন্ডিয়ার সিইও অলোক মিশ্র। তিনি বলেন, ‘শচীন বনসলের চৈতন্য ইন্ডিয়ার অধিগ্রহণ স্বতন্ত্র মাইক্রোফিন ও চৈতন্য, উভয়ের জন্যই ইতিবাচক’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এর ফলে দক্ষিণ ভারতে ‘স্বতন্ত্র’ আরও বিস্তার লাভ করবে।
২০১৩ সাল থেকে গ্রামের মহিলা উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে স্বতন্ত্র। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভারত জুড়ে এর ২৮০টি শাখা ছিল। ২০২০-র নভেম্বরে তা বেড়ে হয় ৫০০। ২০২৩-এর মে মাস তা ৮০০ ছাড়িয়ে যায়। অধিগ্রহণের পর ২০টি রাজ্যে ১,৫০০-এর বেশি শাখা থাকবে স্বতন্ত্রর। ৩.৬ মিলিয়ন গ্রাহক পরিষেবা পাবেন।
এক্স হ্যান্ডেলে স্বতন্ত্রর কাজের কথা বলতে গিয়ে অনন্যার গলায় প্রত্যয়ের ছোঁয়া। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের প্রতিটা গ্রামের মহিলাকে আর্থিক পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ব্যাঙ্কিং সুবিধা পান না যে সব মানুষ তাঁদেরকেও আমারা পরিষেবা দিই’।
২০১৮ সালে মাইক্রো হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছিলেন অনন্যা। এই সংস্থা ‘ব্রাঞ্চলেস মডেল’-এ কাজ করে। স্বল্প আয়ের শহুরে গ্রাহকদের বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ দেওয়া হয়। ৩ বিলিয়ন টাকায় এই কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছিলেন অনন্যা।