তবে শুধু মসলা হিসেবেই নয়, ওষুধ হিসেবেও রসুন ব্যবহৃত হয়। উচ্চ রক্তচাপ, পেটের রোগ, হজমের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস এবং পুরুষত্বহীনতার মতো রোগ সারাতে রসুন ভাল কাজ করে বলে মনে করা হয়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদানের কারণে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এই গরমে ঘরে বসে অনায়াসেই এই সব ব্যবসা করতে পারেন মহিলারা! আয় হবে দেদার!
advertisement
রসুন সরাসরি রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, রসুনের গুঁড়ো, পেস্ট ব্যবহার করা হয় চিপস-সহ অনেক পণ্য তৈরি করতে। সেই কারণে এই ফসল থেকে চাষিরা বিপুল আয় করতে পারেন। কম পরিশ্রমে ভাল লাভের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে রসুন চাষ করলে।
রসুন চাষের পদ্ধতি—
বর্ষাকাল শেষ হলেই রসুন চাষ শুরু করতে হয়। অর্থাৎ অক্টোবর ও নভেম্বর মাসই হল রসুন চাষের আদর্শ সময়। রসুনের কুঁড়ি থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করা হয়। ১০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপণ করতে হবে। যে কোনও মাটিতে রসুনের চাষ করা যায়। কিন্তু জমিতে জল বেশি জমে গেলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণে খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন বেশি জল না থাকে। ৫-৬ মাস পর ফসল কেটে নিতে হবে।
ফসলের পরিমাণ
এক একর জমিতে ৫০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন পাওয়া যেতে পারে। বাজারে এক কুইন্টাল রসুনের দাম হতে পারে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। এক একর জমিতে রসুন চাষ করলে খরচ হতে পারে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। রসুনের অনেক জাত রয়েছে। এর মধ্যে রিয়া-১ জাতটি খুবই ভাল বলে পরিচিত।
অন্য জাতের রসুনের তুলনায় রিয়া-১ জাতের বাজারে চাহিদা বেশি বলে দাবি করা হয়। কারণ এর মান ভাল। প্রতিটি কন্দ ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এতে রসুনের ৬ থেকে ১৩টি কোয়া থাকতে পারে। এই জাতের রসুন চাষ করে কৃষকরা এক মরশুমে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।