গ্রিন ফুয়েল ঠিক কী? সবুজ জ্বালানি সবুজ নয়। এটা একটা ধারণা। বায়োমাস থেকে পাতনের মাধ্যমে গ্রিন ফুয়েল তৈরি করা হয়। পরম্পরাগত ফসিল ফুয়েলের (পেট্রোলিয়াম, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস) চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব এবং জৈব জ্বালানি হিসেবেও পরিচিত। গ্রিন ফুয়েলের মধ্যে রয়েছে বায়ো ইথানল, বায়ো গ্যাস, বায়ো ডিজেল, বায়ো হাইড্রোজেন, বায়ো বুটানল ইত্যাদি।
advertisement
আরও পড়ুন: TRAIN-এর ফুল ফর্ম কি জানেন ? ১০০-এর মধ্যে ৯৯ জন জানেন না ….
‘গ্রিন’ বা সবুজ শব্দটি জৈব বস্তু থেকে প্রাপ্ত যে কোনও ধরনের জ্বালানিকে বর্ণনা করে। সেটা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বর্জ্য থেকে যে কোনও ধরনের জৈব পদার্থ হতে পারে। গ্রিন ফুয়েল তৈরিতে ব্যবহৃত ফিডস্টকগুলি পুনর্নবীকরণ করা যায়, তাই পরিবেশবান্ধব। পেট্রোলের মতো জ্বালানি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। কিন্তু সেগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য দীর্ঘ ভূতাত্বিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। অন্য দিকে, জৈব জ্বালানি কয়েক দিনে তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন: অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের, ২০০ না ৪০০ টাকা ? আপনাকে কত টাকা কম দিতে হবে
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নিয়ে কাজ করে যে সব সংস্থা তারাই গ্রিন ফুয়েল তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে। বিশ্বে প্রতি বছর ৪২০ মিলিয়ন লিটারের বেশি জৈব জ্বালানি তৈরি হয়। পাঠানো হয় ৪০টির বেশি দেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ইউ.এস. এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গ্রিন ফুয়েল তৈরি করছে। ভুট্টা থেকে স্টার্চ বের করে এই জ্বালানি তৈরি হয়।
ইআইএ-র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্টিফেন ন্যালি বলেছেন, ‘নতুন ডেটা বায়োফুয়েলের উৎপাদন ক্ষমতা এবং ফিডস্টক খরচ ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এনার্জি ইন্ডাস্ট্রি এবং অর্থনীতিতে জৈব জ্বালানির প্রভাব আরও ভালভাবে বোঝা যাবে’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত গ্রিন ফুয়েল তৈরি করতে পারলে পেট্রোল, ডিজেলের আর দরকার পড়বে না। গাড়ি, স্কুটার চলবে গ্রিন হাইড্রোজেন, ইথানল, সিএনজি বা এলএনজি-তে।