করোনা আবহে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, পণ্য সরবরাহের খরচ বৃদ্ধির ফলে কাঁচা মালের মূল্য বেড়েছে। যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহে ভারত যদি শক্তিশালী অংশীদার হতে চায় তাহলে ক্লাস্টার এবং শিল্প পার্কগুলিতে আর্থিক ছাড় দিতে হবে। এই মুহূর্তে বাজারে স্টার্ট আপ ব্যবসার হিড়িক লেগেছে। করোনার ধাক্কা থেকে বাঁচাতে এক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া যায় কিনা, ভেবে দেখতে হবে সরকারকে (Union Budget 2022)।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল খোলার ঝুঁকি এখনই নয়! খুদে পড়ুয়াদের জন্য শুরু হচ্ছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'
একদিকে করোনা, অন্যদিকে দূষণের চোখরাঙানি। বিশ্ব উষ্ণায়ণও মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে। এই আবহে গ্রাম এবং শহরে জৈব জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই সব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজেটে আর্থিক ছাড় দিলে একপ্রকার উৎসাহও দেওয়া হবে। মহামারী আবহে বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুবাদ, প্রাথমিক চিকিৎসা, আত্মরক্ষা, যোগব্যায়ামকেও উচ্চ শিক্ষার পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর ফলে, একাধিক ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়বে।
আয়করদাতাদের বিশেষ সম্মান দেওয়া উচিত বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের জন্য বিশেষ কোনও অধিকার আনা যায় কিনা তাও ভেবে দেখতে হবে সরকারকে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে। আয়কর বিভাগের ভিত্তিতে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আশা জাগিয়ে রাজ্যে আরও কমল আক্রান্তের সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত ৪৫৪৬
অতিমারি সংগঠিত এবং অসংগঠিত, উভয় ক্ষেত্রেই বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বইপত্র, স্টেশনারি সামগ্রীর ক্রয় বিক্রয়, প্রকাশনা সংস্থা একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।পরিবর্তে উঠে এসেছে বিভিন্ন লার্নিং অ্যাপ, অনলাইন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম, হোম ডেলিভারি সংস্থা। আসলে মানুষের চাহিদার বিপুল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। কিন্তু অসংগঠিত শিল্পের সঙ্গে এখনও বহু মানুষ যুক্ত। তাই তাঁদের দিকেও সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্যারাডাইম শিফট ঘটে গিয়েছে। কিন্তু এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীরা। তাঁদের জন্য সুবিধাজনক এবং মসৃণভাবে ডিজিটালাইজেশন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে পরিবর্তন আনা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীদিনে ই কমার্স কোম্পানি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলি রাজস্ব আদায়ের অন্যতম বড় উৎস হয়ে উঠতে পারে। তবে এজন্য আয়করে কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কারণ মহামারী আবহে সাধারণ মানুষ বিনোদন খাতে অত্যধিক ব্যয় করতে রাজি নাও হতে পারে। তবে কিছু প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের উপর পরোক্ষ কর সংশোধন দরকার। অল্পবয়সী শিশু-কিশোরদের স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে রাশ টানতে পদক্ষেপ জরুরি বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এজন্য জরিমানার বিধানও আনা যেতে পারে। ইন্ডোর গেমস এবং রেডিও প্রোগ্রামে বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।