ওই আধিকারিকের কথায়, ‘মনে হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২ হাজার টাকার নোট বদলের সময়সীমা অন্তত এক মাসের জন্য বাড়াবে। না হলে অনাবাসী এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা অসুবিধায় পড়বেন’। উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকার ২ হাজারের নোট ফেরত এসেছে যা প্রায় বাজারের প্রচলিত নোটের ৯৩ শতাংশ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা প্রচলিত ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: মাসে ২ লাখ টাকা পেনশন চান? কত টাকা এনপিএসে বিনিয়োগ করতে হবে দেখে নিন
ক্লিন নোট নীতির আওতায় ১৯ মে বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, ‘ক্লিন নোট পলিসির আওতায় ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’। এই বিবৃতিতে ব্যাঙ্কগুলোকে ২ হাজার টাকার নোট ইস্যু করতে বারণ করা হয়। পাশাপাশি আমজনতাকে ২ হাজার টাকার নোট বদল বা জমা দেওয়ার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: LIC পলিসির বিনিময়ে কত টাকার লোন পাওয়া যেতে পারে? দেখে নিন এক নজরে
শীর্ষ ব্যাঙ্ক সময়সীমা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন একজিকিউটিভ ডিরেক্টর চন্দন সিনহাও। তাঁর কথায়, ‘কোনও অসুবিধা সৃষ্টি না করে বাজার থেকে নোট তুলে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল। তাই আমার ধারণা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সময়সীমা বাড়িয়ে দেবে’। শীর্ষ ব্যাঙ্কারও একই কথা বলছেন। সাউথ ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের এক শীর্ষ কর্তা বলছেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনেকেই নোট জমা করতে পারেননি। কেউ অসুস্থ ছিলেন, কেউ বিদেশে গিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে’।
প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর আর গান্ধিও মনে করছেন, সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে। তাঁর কথায়, ‘এই সময় যাঁরা বিদেশে ছিলেন তাঁদের জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’।