সম্প্রতি অসমে দেখা গিয়েছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অসমের রেশন কার্ড সরকার দ্বারা যাচাই করার পর সামনে এসেছে এই তথ্য। অসম সরকার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা অনিবার্য করেছে। সরকারের এই নিয়মের জন্য ৫০ লাখ রেশন কার্ডধারক রেশন নিতে যাননি। একই সঙ্গে তাঁরা রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করাননি।
advertisement
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন যে, রাজ্যে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড সংযুক্ত করার যোজনা নিয়ে আসার পর, সরকার প্রায় ৫০ লাখ রেশনভোগীদের গরমিল পেয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, এর মধ্যে অনেক লোকের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে, এছাড়াও বেশ কিছু লোক বিবাহের পর অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। একই সঙ্গে বেশ কিছু নকল রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে।
নকল রেশন কার্ড -
অসমে বিরাট সংখ্যায় মানুষ রেশন কার্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি করছিল। এর মধ্যে নকল রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেওয়া হচ্ছিল। সরকার এখন এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া শুরু করেছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করার সময়ে এই দুর্নীতি সরকারের নজরে আসে। এর পরে নড়েচড়ে বসে অসম সরকার। মে মাস থেকে অগাস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত রেশন কার্ডের ডেটাবেস থেকে প্রায় ৪০ লাখ রেশনভোগীদের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। কারণ সেই সকল নাম ছিল মৃত ব্যক্তিদের নামে, অন্য ব্যক্তিদের নামে এবং নকল ব্যক্তিদের নামে।
যোজনায় যুক্ত হবে নতুন নাম -
হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন যে, দুর্নীতিযুক্ত রেশনভোগীদের নাম মুছে দেওয়ার ফলে রাজ্য সরকারের অনেক সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে সেই সকল সুযোগ-সুবিধা আসল রেশনভোগীদের দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্র খাদ্য সুরক্ষা কানুন অনুযায়ী ৫০ লাখ লোক এর মধ্যে সংযুক্ত করা হবে।
অরুণোদয় যোজনাতে নকল ৬২ হাজার লোক
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, অরুণোদয় যোজনায় প্রায় ৬২ হাজার নকল লোক যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ২,০০০ লোক স্বেচ্ছায় এই যোজনার লাভ নিতে অস্বীকার করেছে। রাজ্য সরকার এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ পরিবারকে মাসিক ১,২৫০ টাকা করে দেয়।