একাধিক সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভাল আবহাওয়ার কারণে এই বছর দেশের প্রধান ফসলগুলির উৎপাদন বেড়েছে। উচ্ছ্বসিত কৃষি গবেষক এবং কৃষি বিজ্ঞানীরাও। কয়েক মিলিয়ন হেক্টর জুড়ে উৎপাদিত হচ্ছে দেশের প্রধান ফসলগুলি। গত পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় যা ৫ শতাংশ বেশি।
সেই সূত্রেই কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং কিছুটা বেশি জমির কারণে গমের ফসলের সম্ভাবনা ভাল। এই বছর মোট উৎপাদন ১১২ মিলিয়ন টনের বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গম এবং রবি ফসল অক্টোবর মাস থেকে বপন শুরু হয়। ফসল কাটা শুরু হবে মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কৃষকরা ২০২২-২৩ শস্য বছরের (জুলাই-জুন) চলতি রবি মরশুমের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩২.১৬ লাখ হেক্টর জমিতে গম বপন করেছেন, যা গত বছরের একই সময় ৩২৯.৮৮ লাখ হেক্টর ছিল।
advertisement
কৃষি মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলছেন, এই বছর গমের দাম বেশি। সেটা আগাম বুঝেই পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল গম চাষ করেছিলেন। বাম্পার ফসল উৎপাদন হলে কৃষকের আয় বাড়বে। পাশাপাশি গুদামগুলিতে গমের মজুতও বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু কিছু শর্তও রয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা আগামী দুই মাসে বিশেষ করে ফসল কাটার সময় ‘অনুকূল আবহাওয়া’ অব্যাহত থাকার উপর জোর দিয়েছেন। তবেই শেষ হাসি হাসবেন কৃষকরা। জলবায়ু সংকটের কারণে ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তে আবহাওয়া বদল হলে সেটা কৃষকদের কাছে বড় ধাক্কা। উৎপাদিত ফসল নষ্ট হবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা তাই ফসলের নজরদারি উন্নত করার উপর জোর দিচ্ছেন। আরও ভাল এবং সংবেদনশীল পূর্বাভাস কাঠামোয় বিনিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। সেটাই কৃষকদের আরও বেশি ফসলের উৎপাদনে মদত যোগাবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘমেয়াদে এর সঙ্গে মোকাবিলা করার মতো কাঠামো তৈরি করতে হবে।