নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। যেমন চিলড্রেন গিফট ফান্ড, চিলড্রেন অ্যাসেট প্ল্যান, চিলড্রেনস কেরিয়ার প্ল্যান ইত্যাদি। এগুলো বেশিরভাগই হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড। মূলধনের একটা অংশ নিরাপদ ঋণ উপকরণ বা ঋণ বন্ডে বিনিয়োগ করে যা সুদের আয়ের জন্য বেসরকারি বা সরকারি সংস্থাকে ঋণ দেয়। তারা আবার এমন স্টকে বিনিয়োগ করে যা ঋণ বন্ডের তুলনায় বেশি রিটার্ন দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১২ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! কবে কবে ? দেখে নিন ছুটির পুরো লিস্ট
সেবি নিবন্ধিত আর্থিক পরিকল্পনাকারী অভিজিৎ তালুকদার বলেন, ‘শিশুদের মিউচুয়াল ফান্ড ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য। এই ফান্ডগুলি সাধারণত ৫ বছরের লক ইন-সহ ইক্যুইটি এবং ডেট ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করে। কিছু এএমসি ম্যাচিউরিটির আগে টাকা তোলার অনুমতি দেয়। তবে তার জন্য ৩ থেকে ৪ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে’।
শিশুদের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি: ১৮ বছরের কম বয়সী যে কোনও শিশুর নামে মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো এতে যৌথ বিনিয়োগ করা যায় না। আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের কিরণ দেশপান্ডে বলেন, ‘প্রথম বিনিয়োগের সময় সন্তানের বয়সের প্রমাণ, জন্ম শংসাপত্র বা পাসপোর্টের অনুলিপি এবং সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্কের প্রমাণ জমা দিতে হবে’।
মাথায় রাখতে হবে: অভিভাবক প্রতি মাসে এসআইপি-র মাধ্যমে সন্তানের নামে বিনিয়োগ করতে পারেন। এটা চলবে সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। তারপর বন্ধ হয়ে যাবে।
চিলড্রেন মিউচুয়াল ফান্ডের পারফরমেন্স: এইচডিএফসি চাইল্ড গিফট ফান্ড শিশুদের মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগে ৫,৬০৯ কোটি টাকা-সহ ব্যবস্থাপনার অধীনে সর্বোচ্চ সম্পদ রয়েছে। এই তহবিলের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) গত তিন বছরে ১৭.১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও, এর প্রায় ৬৬ শতাংশ তহবিল ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়, এর মধ্যে ২৫.৪ শতাংশ ঋণ বন্ডে। এছাড়া সম্পদের ৬.১ শতাংশ সার্বভৌম সরকারি বন্ডে, ৫.২ শতাংশ এবং ৫.১ শতাংশ যথাক্রমে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বিনিয়োগ করেছে৷