আদানি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘…বাজারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের স্টক মূল্য ওঠানামা করছে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির পর্ষদ মনে করেছে, বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নৈতিকভাবে ঠিক নয়। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবার আগে। তাঁদের যে কোনও রকম আর্থিক ক্ষতি থেকে দূরে রাখতে বোর্ড এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল’।
advertisement
আরও পড়ুন: খুব অল্প মূলধনে শুরু করা যায় নতুন ব্যবসা, কী ভাবে দেখে নিন এক নজরে
এখন প্রশ্ন হল এফপিও কী? যা বাজারে ছাড়ার পরেও আদানি এন্টারপ্রাইজকে তুলে নিতে হল। স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোনও কোম্পানি এফপিও অর্থাৎ ফলো অন পাবলিক অফার বাজারে আনে। এটা মূলত কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর প্রক্রিয়া। এফপিও-র মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করা হয়। যাতে বর্তমান এবং নতুন শেয়ার হোল্ডাররা তাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
এফপিও এবং আইপিও কী এক: আদতে একই। কোম্পানির মূলধন সংগ্রহই এর উদ্দেশ্য। তবে পার্থক্যটা হল, তহবিল সংগ্রহের জন্য এফপিও শুধুমাত্র স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিই জারি করতে পারে। আর আইপিও বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য যে কোনও কোম্পানি জারি করতে পারে। সহজ কথায়, যখন একটি প্রাইভেট কোম্পানি বাজারে তহবিল সংগ্রহ করে, তখন তাকে আইপিও বলা হয়। আর যখন স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত পাবলিক কোম্পানি অর্থ সংগ্রহ করে, তখন তাকে এফপিও বলা হয়।
আরও পড়ুন: অটল পেনশন যোজনায় কীভাবে জমা রাখবেন টাকা! রিটার্ন কত? জেনে নিন
এফপিও কত রকমের হয়: এফপিও দুই ধরনের হয়। একটি হল ডিলুটিভ এফপিও এবং অন্যটি হল নন-ডাইলুটিভ এফপিও। ডিলুটিভ এফপিওতে, কোম্পানির তরফে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করা হয়। এটি কোম্পানির ইপিএসকে প্রভাবিত করে। যেখানে, নন-ডিলুটিভ এফপিওতে, অতালিকাভুক্ত শেয়ারগুলি বেসরকারি সংস্থাগুলির তরফে বিক্রি করা হয়। এটি ইপিএসকে প্রভাবিত করে না।
কোম্পানি কেন এফপিও জারি করে: কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন। সেই টাকা তুলতেই মূলত এফপিও জারি করা হয়। এছাড়া কখনও কখনও ঋণ কমাতে এবং বাজারে স্টকের লিকুইডিটি বাড়ানোর জন্যও এফপিও আনা হয়। বিনিয়োগকারী যে কোনও ব্রোকিং প্ল্যাটফর্মে গিয়ে এফপিও-র জন্য বিড করতে পারেন।