বর্তমান কোম্পানিতে তিনি এবিষয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর সহকর্মীরা তাকে জানান যে তিনি এই নিয়ম না মানলে তাঁর বেতন আটকে রাখা হবে। অনিচ্ছাকৃত হোক বা স্বেচ্ছায়, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে জেনে নেওয়া উচিত যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে কী কী সুবিধা এবং অসুবিধা হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গিয়েছে ITR দাখিলের শেষ দিন; সময়ের মধ্যে জমা না-করে থাকলে জুটবে ‘শাস্তি’
advertisement
একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার সুবিধা
১) বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের ট্র্যাকিং করা সহজ
একজন ব্যক্তির সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক ধরনের লেনদেন করা হতে পারে, যেমন পেনশন অ্যাকাউন্ট, সরকারের কাছ থেকে সরাসরি রিফান্ড ট্রান্সফার (এলপিজি ভর্তুকি), অন্যান্য রিফান্ড এবং আয়কর প্রদান। এই সমস্ত লেনদেন একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যেতে পারে, তবে পৃথক অ্যাকাউন্ট থাকলে লেনদেনের ট্র্যাকিং করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
২) একটি ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল না থাকা
বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলি অর্থ সম্পর্কিত অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়ার জন্য খুব বেশি নির্ভর করে প্রযুক্তির উপর। একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে একটি অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে সমস্যা হলে, অন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করা সম্ভব। এর ফলে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য কোনও কাজ আটকে থাকে না।
আরও পড়ুন: পিএম কিষাণের লভ্যার্থীদের জন্য বাম্পার খবর! বড় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর Tweet
৩) এটিএম ব্যবহার বেশি করতে পারা
বর্তমানে এটিএম হল টাকা তোলার প্রাথমিক মাধ্যম। প্রতি মাসে বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট কয়েকবার বিনামূল্যে এটিএম থেকে টাকা তোলার অনুমতি দেয়। এর পর থেকে চার্জ কেটে নেওয়া হয়। একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য থাকবে একটি করে এটিএম কার্ড। এর ফলে এটিএম চার্জ কম লাগবে।
একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার অসুবিধা
১) প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখা
প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। এটি করতে ব্যর্থ হলে সাধারণত ব্যাঙ্ক একটি চার্জ কেটে নেয়।
২) ফান্ডের ব্যবহার করতে না পারা
প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখার কারণে টাকা ব্লক হয়ে থাকে।
৩) সমস্ত অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিরীক্ষণ করা
একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করলে সমস্ত লেনদেন ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট নিতে হবে, এটি হতে পারে সময়সাপেক্ষ।