রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের বাজারে বিপদের মেঘ আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদেশি ব্রোকারেজ ফার্ম নোমুরা বলেছে, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে। করোনাভাইরাসের অতিমারী থেকে পুনরুদ্ধার হওয়া বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটিই খুবই বিপজ্জনক।
নোমুরা তাদের প্রতিবেদনে বলেছন, ভারত এশিয়ার সেই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে যারা এই সঙ্কটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার পর অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এই প্রতিবেদনের লেখক অরোদীপ নন্দী এবং সোনাল ভার্মা বলেছেন, তেল ও খাবারের মূল্য বৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
advertisement
নোমুরা আরও বলেছে, এশিয়ার মধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে এই যুদ্ধ। যদিও ইন্দোনেশিয়া কিছুটা লাভবান হতে পারে। এই সঙ্কটের জন্য ভারতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। অপরিশোধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধি ভারতের আর্থিক অবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলবে। ভারত তার চাহিদার ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে। তেলের দাম দশ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে জিডিপি ০.২ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ক্রিপ্টোকারেন্সিই ভরসা দেশের মানুষের! নগদ স্থানান্তরের নিষেধাজ্ঞা
আর্থিক হার বাড়তে পারে
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) আর্থিক নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে এমন একটি সম্ভাবনাও রয়েছে, যদি মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে তবে আরবিআই তার নীতি কঠোর করতে পারে। চলতি মাসের শুরুর দিকে মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরে গড় মূদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫ শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা অনুসারে ভারতের অপরিশোধিত তেলের ব্যারেলে প্রতি ১০ ডলার বৃদ্ধি হলে তাৎ জিডিপি বৃদ্ধি ০.১০ শতাংশ কমাতে পারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।