মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল ৷ মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনও শুরু ৷ এর ঠিক আগের দিনই একের পর এক অস্বস্তি বিজেপি শিবিরে। একদিকে এনডিএ ছাড়েন উপেন্দ্র কুশওয়াহা ৷ এ নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি তোলপাড়, তখন মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সোমবারই ইস্তফা দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেল। গত কয়েক মাস ধরেই আরবিআইয়ের সঙ্গে মোদি সরকারের সংঘাত তুঙ্গে। তার জেরেই কি আরবিআইয়ের গভর্নরের ইস্তফা ? এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
advertisement
আরও পড়ুন-উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা, কী প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতের বাজারে ?
নরেন্দ্র মোদি অবশ্য ট্যুইট করে উর্জিত প্যাটেলের প্রশংসা করেছেন। লিখেছেন, উর্জিত প্যাটেলের অভাব অনুভব করবেন। পাল্টা বিরোধীদের দাবি, ইস্তফার পরে এ কথা বলে, আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি।
ঠিক কী নিয়ে আরবিআই ও মোদি সরকারের এমন সংঘাত ?আরবিআইয়ের অভিযোগ,
১. তাদের মতো স্বশাসিত সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে মোদি সরকার ৷
২. পরিচালন পর্ষদে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিনিধি, এস গুরুমূর্তির মতো সঙ্ঘ পরিবার-ঘনিষ্ঠকে বসানো হয়েছে যিনি দুর্বল ব্যাঙ্কগুলির উপরে ঋণের শর্ত শিথিল করার জন্য চাপ দিচ্ছেন ৷
৩. অনাদায়ি ঋণের কথা না ভেবে ছোট-মাঝারি শিল্পকে দরাজ হাতে ঋণ বিলি করতে বলছেন।
৪. রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারেও হাত দিতে চাইছে মোদি সরকার আরবিআইয়ের থেকে তারা ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে। সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মোদি সরকারের কথা না শোনায়, আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারাও ব্যবহার করেছে কেন্দ্র। এই ধারা অনুযায়ী, সরকার জনস্বার্থে আরবিআইকে নির্দেশ দিতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য, সম্প্রতি, কেন্দ্রকে সরাসরি আক্রমণ করেন। অভিযোগ করেন, সরকার টি-২০ খেলে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে খেলতে হয় টেস্ট ম্যাচ। তাঁর মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলে তবেই অর্থনীতির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ভোটেও ফায়দা মেলে।
আরবিআইয়ের গভর্নর উর্জিত প্যাটেল প্রকাশ্যে এ ভাবে সুর না চড়ালেও, তিনি কিন্তু ডেপুটি গভর্নরের পাশেই দাঁড়ান। এতে মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটেই আরবিআইয়ের গভর্নরের পদত্যাগ। যা ভোট বাজারে মোদি সরকারের কাছে বেজায় বিড়ম্বনার বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।