ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড লিমিটেড (ম্যাকডোনাল্ডস ইন্ডিয়া ডব্লিউএন্ডএস)-এর ভাইস চেয়ারম্যান অমিত জাটিয়া বলছেন, "গত অর্থবর্ষে লাভের মুখ দেখেছে কিউএসআর শিল্প। আমাদের আশা, আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকার এমন নীতিগুলোর উপর ফোকাস করবে, যা অর্থনীতিকে ট্র্যাকে রাখবে। ব্যবসা করা আরও সহজ করে তুলবে। একইসঙ্গে কিউএসআর শিল্প আইটিসি (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ছাড়ের আশাও করছে।"
advertisement
জাটিয়া যোগ করেন, বর্তমানে রেস্তোরাঁগুলিতে কোনও কোনও ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ছাড়াই জিএসটি হার ৫ শতাংশ। তাঁর কথায়, "এটা রেস্তোরাঁ ও খাদ্যশিল্পের জন্য তুলনামূলকভাবে অসুবিধাজনক। কারণ অন্যান্য সেক্টর ইনপুট ক্রেডিট ফেরত পায়। এটা আজ রেস্তোরাঁ শিল্পের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া কাঁচামাল আমদানিতে উদারীকরণ এবং দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে সামগ্রিক শিল্পের বৃদ্ধিতে আরও সাহায্য করবে।"
বারিস্তা কফি কোম্পানির সিইও রজত আগরওয়াল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পুনঃপ্রবর্তনের দাবি করেন। তিনি বলেন, "ইনপুট ক্রেডিট না পাওয়া এফঅ্যান্ডবি শিল্পের জন্য বড় ক্ষতি। ব্যবসার নগদ স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পুনঃপ্রবর্তন শুধু ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে তাই নয়, মহামারীর বছরগুলিতে যে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার শক্তিও যোগাবে। বিশেষ প্রণোদনা স্কিম, তহবিল বৃদ্ধির জন্য সহজ ক্রেডিট ইকো-সিস্টেম এবং মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগকে সমর্থন করে এমন দেশীয় পণ্য ব্যবহার বাড়াতে হবে।"
আরও পড়ুন, সকাল থেকেই কলকাতায় শিরশিরে ঠান্ডা ফেরত, রাজ্যে রাজ্যে জারি বৃষ্টির অ্যালার্ট
আরও পড়ুন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না...’, বললেন ফাইনালের সেরা তিতাস
করোনা মহামারীর সময় লকডাউনের জেরে সমস্ত ব্যবসায়িক খাতই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে লাভও কম হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা বদলেছে। কিন্তু ক্ষতির অঙ্ক পোষানোর জন্য সরকারের কিছু করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই। দ্য হেলথ ফ্যাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিনয় মাহেশ্বরী বলেন, "সামগ্রিক এফঅ্যান্ডবি সেক্টর আমাদের দেশের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই আসন্ন বাজেটে এই সেক্টরের উপর বিশেষ ফোকাস করা উচিত সরকারের।"