২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই নরেন্দ্র মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের মন জয় করতে অনেক বড় কিছু ঘোষণা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মানিকন্ট্রোল রিপোর্ট অনুসারে, ৭ তম বেতন কমিশনের অধীনে বেতন পরিকাঠামো সংশোধন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে আলোচনা চলছে। সূত্র বলছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন পরবর্তী বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের মাধ্যমে ঘোষণা হতে পারে।
advertisement
সরকার মনে করে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১০ বছরের পরিবর্তে প্রতি বছর বাড়ানো উচিত। এতে নিচু পদে থাকা কর্মচারীদের বিপুল লাভ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে ৭ তম বেতন কমিশন অনুমোদন করার সময়, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন যে প্রতি বছর কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সময় চলে এসেছে। এতে জুনিয়র লেভেলের কর্মীরা উপকৃত হবেন।
সূত্রের খবর, অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের আর সম্ভবত এক বছর বাকি রয়েছে। প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা আগামী বাজেট থেকেই সম্ভবত কার্যকর হবে।
২০২৩ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাউস বিল্ডিং ভাতা (HBA) সংক্রান্ত দুটি বড় ঘোষণা হতে পারে। সরকার ভাতার অগ্রিম পরিমাণ এবং তার উপর ধার্য করা সুদ উভয়ই বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন, উন্নয়ন ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
আরও পড়ুন, ধর্মতলায় অশান্তি! নওশাদ-সহ ১৯ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করল ব্যাঙ্কশাল আদালত
বর্তমানে, কেন্দ্রীয় কর্মীরা বাড়ি তৈরি বা মেরামতের জন্য সরকারের কাছ থেকে HRA অগ্রিম হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারেন। বর্তমানে বাড়ি নির্মাণ ভাতার সুদের হার ৭.১ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, বাজেটে নির্মলা সীতারামন HBA-এর সুদের হার ৭.৫ শতাংশে সংশোধন করতে পারেন এবং অ্যাডভান্সের সীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা হতে পারে।