রিফান্ড বিলম্বের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল আয়কর রিটার্নে ভুল তথ্য। যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড, PAN বা ঠিকানা ভুল হয়, তাহলে আয়কর বিভাগ রিফান্ড ইস্যু করতে পারবে না।
এই ধরনের ক্ষেত্রে সঠিক বিবরণ আপডেট না হওয়া পর্যন্ত রিটার্নটি আর প্রসেস করা যাবে না, এখানেই মূলত বিলম্ব হয়। রয়েছে আরও কিছু কারণ-
advertisement
উচ্চমূল্য বা সন্দেহজনক রিটার্নের জন্য অতিরিক্ত তদন্ত
যদি কোনও রিটার্নে বড় অঙ্কের রিফান্ড দাবি করা হয় বা তথ্যের অমিল দেখায়, তাহলে বিভাগ ম্যানুয়ালি তা যাচাই করে। ১ লক্ষ টাকার বেশি রিফান্ড, বিদেশি উৎস থেকে আয়, মূলধন লাভ অথবা বিভিন্ন আয়ের উৎসের রিটার্ন প্রায়শই অতিরিক্ত চেকের মধ্য দিয়ে যায়। দাবিটি বৈধ বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেই কেবল টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
ক্লোজড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অথবা ব্যর্থ প্রি-ভ্যালিডেশন
পোর্টালে পূর্বে যাচাইকৃত সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতেই কেবলমাত্র রিফান্ড জমা হয়। যদি কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকে, নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা প্রি-ভ্যালিডেশন ব্যর্থ হয়, তাহলে রিফান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকে রাখা হয়। অতএব, করদাতাদের তাদের ব্যাঙ্কের বিবরণ আপডেট করতে হবে এবং আবার প্রি-ভ্যালিডেশন সম্পন্ন করতে হবে।
মুলতুবি ট্যাক্স ডিমান্ড অথবা ই-ভেরিফিকেশনে বিলম্ব
যদি ট্যাক্স ডিমান্ড বকেয়া থাকে, তাহলে তা পরিশোধের পরেই বিভাগ রিফান্ড দেবে। একইভাবে, যদি ITR দাখিল করার ৩০ দিনের মধ্যে ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না হয়, তাহলে রিটার্ন প্রসেস করা হবে না। ই-ভেরিফিকেশনে যে কোনও বিলম্বের ফলে সরাসরি রিফান্ড পেতে বিলম্ব হয়।
অমিল, ত্রুটি অথবা ধারা ১৫৪ নোটিস
যদি রিটার্নে কোনও উল্লেখযোগ্য ভুল থাকে অথবা তথ্য ফর্ম 26AS, AIS অথবা TIS-এর সঙ্গে না মেলে, তাহলে রিফান্ড আটকে রাখা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ITR ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত রিফান্ড প্রসেসে বিলম্ব করে। মাঝেমধ্যে, বিভাগের পক্ষ থেকে বড় আকারের রিফান্ডের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী আর্থিক বিলম্ব হতে পারে।
রিফান্ডের স্ট্যাটাস পরীক্ষা
ITR-1 এবং ITR-4-এর মতো সহজ রিটার্নগুলি সাধারণত দ্রুত প্রসেস করা হয়। যদি রিফান্ড বিলম্বিত হয়, তাহলে ই-ফাইলিং পোর্টালে লগ ইন করে এবং View Filed Returns-এর অধীনে তা দেখে নেওয়া যাবে।
যদি কোনও নোটিস, বিচারাধীন পদক্ষেপ বা অমিল দেখা দেয়, তাহলে তা অবিলম্বে সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ।
